• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জিয়া ১৫ আগস্টের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম

জিয়া ১৫ আগস্টের অন্যতম প্রধান কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য ১৫ আগস্ট সংঘঠিত মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যে খুনের মাধ্যমে তাদের উত্থান, সেই খুনের রাজনীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। দেশটাকে তারা এখন বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডিতে জন্মগ্রহণকারী শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার সময় এই অবুঝ শিশু যে রাজনীতি বুঝতো না, রাজনীতি করতো না, রাজনীতির আশেপাশেও ছিলো না তাকে হত্যা করা হয়েছিল। 
শেখ রাসেল দিবসে তার মর্মস্পর্শী ইতিহাস স্মরণ করে হাছান বলেন, সেই হত্যাযজ্ঞের সময় বাড়ির সিঁড়ির তলায় আশ্রয় নেওয়া শেখ রাসেলকে যখন টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছিল তখন শেখ রাসেল বলেছিল- আমি মায়ের কাছে যাব। খুনিরা তাকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। অর্থাৎ সে দিন খুনিরা যে কী নৃশংস, নির্মম, বর্বর ছিল সেটিরই প্রমাণ এই হত্যাকাণ্ড।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেনকে যখন হত্যা করা হয় তখন নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলের মতো শিশুকে হত্যা করা হয়েছিলো, নারী ও শিশুদের রেহাই দেওয়া হয়নি। চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১০-১১ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্তসত্তা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিলো। খুনিরা সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত করেছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন তখনই পূর্ণতা পাবে যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ ১৫ আগস্টের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।‍‍`

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ