প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৬:০৯ এএম
চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২ নভেম্বর এই রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে। ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের কালুরঘাট সেতু মেরামত কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, “এই রেললাইন নির্মাণের সময় আমরা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমাদের কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। এরপর সাম্প্রতিক বন্যাও লাইনের ক্ষতি করেছে। তবুও কাজ প্রায় শেষের দিকে।”
কালুরঘাট সেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটি অনেক পুরাতন একটি সেতু। এই সেতু দিয়ে ভারি ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। আমরা এখানে পৃথক লেন স্থাপন করছি। প্রাথমিকভাবে সেতুর সংস্কারের কাজ করা হবে। তারপর ওয়াকওয়ের কাজ করা হবে। তবে তার আগেই মূল সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে এখানে একটি নতুন আরও একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ডুয়েল গেজ রেললাইন এবং চার লেনের সড়কসহ সেতু। আগামী বছর কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯২%। বাকি কাজ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর সিগন্যালিং সিস্টেম এবং রেললাইন চালু করা হবে। শুধুমাত্র কয়েকটি স্টেশনে অতিরিক্ত কাজের প্রয়োজন হতে পারে।”
ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের সংখ্যার পাশাপাশি ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। তবে আমরা উন্নত যাত্রীবাহী কোচের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি।”
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১,৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮,০৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।