প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩, ১২:৪৩ এএম
বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে দেশ ও দেশের বাইরে এত মাতামাতি কেন হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অপতৎপরতা চলছে কিনা সে বিষয়েও সন্দিহান বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার তেমন কোন তফাত দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যে অন্য কিছু আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে এসে দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন হঠাৎ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন?
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তো উন্নতিটা হচ্ছে। এখন এত প্রশ্ন আসে কেন সেটাই আমার কথা। একটা দেশ এত দ্রুত উন্নতি করে ফেলছে সেটাই সবার মাথাব্যথার কারণ হয়ে গেল কিনা এবং কীভাবে এটাকে নষ্ট করা যায় সেই প্রচেষ্টা কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আমারও আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের এটাও বলেছি যে, এক সময় আমাদের দেশে ছিলো গভমেন্ট বাই দি আর্মি, অব দি আর্মি ফর দি জেনারেল। আর গভমেন্ট বাই দি পিপল, অব দি পিপল, ফর দি পিপল- এটা তো আমরা স্ট্যাবলিশ করেছি।
সব ধরণের অপকর্ম থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে এসে দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন হঠাৎ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন? সন্দেহ হয় রে...। এটাই বলতে হয়, সন্দেহ হয় রে...। আসল কথা নির্বাচনটাকে বানচাল করে দেয়া। যারা জানে, নির্বাচনে ভোট পাবে না তারা সব জায়গায় গিয়ে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ, তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থাকাকালে এতো বেশি টাকার মারিল হয়ে গেছে তারা, অবাধে সেই টাকা খরচ করে যাচ্ছে। এর সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে বাস্তব অবস্থাটা বোঝে কিনা আমি জানি না, কিন্তু তারা এই একই কথা, ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে।
‘আমি একথা বলে এসেছি যে, ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম। আমি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এদেশের মানুষের জন্য ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে দিয়েছি। আজকে আমাকে তো ভোটের বিষয়ে শেখাতে হবে না।’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা সবাই তো ভোট চোর। আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আমাদের তো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। আমরা কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ইস্যু তুলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাদানকারীদের’ বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে দেশটি। যার আওতায় আছেন ক্ষমতাসীন, বিরোধী দল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/