• ঢাকা রবিবার
    ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

করোনায় ৩৫ লাখ কোরবানির পশু অবিক্রিত থাকার আশঙ্কা

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২১, ০৬:২২ পিএম

করোনায় ৩৫ লাখ কোরবানির পশু অবিক্রিত থাকার আশঙ্কা

তরিকুল ইসলাম সুমন

করোনা সংক্রমণের প্রভাবে নতুন করে চাকরি হারানো, নতুন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওযায় কোরবানি করার মতো সামর্থ্য থাকবে না অনেক মানুষের। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কোরবানি করা মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। দেশের অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব নিয়ে নানা গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা এমনই তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিআইডিএস-এর এক গবেষণা তথ্যানুযায়ী, অফিসে (ফরমাল সেক্টর) চাকরি করেন এমন ১৩ ভাগ মানুষ করোনায় পর্যন্ত কাজ হারিয়েছেন। চাকরি আছে কিন্তু বেতন নেই এমন মানুষের সংখ্যা আরও বেশি। আর ২৫ ভাগ চাকরিজীবীর বেতন কমে গেছে।

অপরদিকে,পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) যৌথ জরিপ অনুযায়ী, দেশের এই অচলাবস্থায় মানুষের আয় কমে যাওয়ায় নতুন করে কোটি ৬৯ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন সিটি নিউজকে জানান, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে অনেকগুণ। কিন্তু তার পরও দেশে ১০ শতাংশ বেশি গবাদি পশু লালন-পালন করেছেন খামারিরা। করোনা মহামারির কারণে অনেকে কোরবানি না করায় অবিক্রিত থাকবে অনেক গবাদি পশু। ক্ষতির মুখে পড়বে সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে খামারিরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক, (উৎপাদন) মো. জহির উদ্দিন মিঞা সিটি নিউজকে বলেন, ‘দেশে বর্তমানে কোরবানি-যোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার। করোনার কারণে গবাদি পশুর উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই, বরং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় কোরবানির সংখ্যা কম হতে পারে।

তিনি আশঙ্কা করে বলেন, ‘ বছব প্রায় ৩৫ লাখ গবাদি পশু অবিক্রিত থাকতে পারে। 

সূত্র জানায়, গত বছর কোরবানি-যোগ্য গবাদি পশু ছিল কোটি ১৯ লাখ। কোরবানি হয়েছিল ৯৫ লাখ। অবিক্রিত ছিল ২৪ লাখ গবাদি পশু।  

মো. জহির উদ্দিন মিঞা আরও বলেন, ‘গত বছর করোনার কারণে কোরবানির পশু কাটার মানুষের সংকট ছিল। অনেকে হাটে গিয়ে গবাদি পশুও কেনেননি। এতে করে কোরবানি কম হয়েছে এবার আমরা সারা দেশে অনলাইনে বিক্রি এবং স্লোটার হাউসের ওপরে জোর দিচ্ছি। অনলাইনে কোরবানির পশু অর্ডার পেমেন্ট দিলেই গোশত সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা সিটি নিউজকে জানান, সারা দেশে খামারিদের অনলাইনে পশু বিক্রি এবং স্লোটার হাউসে পশু জবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সারা দেশে স্থানীয় সরকারের ৭৬০টি স্লোটার হাউসে এবার কোরবানি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যাতে করে খামারিদের পশু বিক্রির জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তরিকুল/এম. জামান

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ