• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসা ‍‍`ক্যান্টিন বয়‍‍` রাব্বি এখন স্কুলে যায়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ০৩:২৪ এএম

প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসা ‍‍`ক্যান্টিন বয়‍‍` রাব্বি এখন স্কুলে যায়

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখে পড়া সেই শিশু রাব্বি এখন স্কুলে পড়ছে। তার শিক্ষা ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান দিয়েছিলেন ৫ লাখ টাকা। গত মাসে চাঁদপুরের একটি ব্যাংকে জমা রাখা হয় সেই টাকা। এরইমধ্যে এক মাসের লভ্যাংশ পেয়েছে রাব্বি।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শিশু রাব্বির হাতে লভ্যাংশের টাকা তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত এবং শিশু রাব্বির মা রাজিয়া বেগম।

গত ১৫ জুলাই জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিজের চোখ পরীক্ষা করতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার সামনে হাজির হয় সেখানকার ক্যান্টিন বয় রাব্বি। প্রধানমন্ত্রী মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরে রাব্বির পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে জানতে পারেন, চাঁদপুরের এই শিশু রাব্বি আর্থিক অনটনের শিকার। জীবিকার জন্য এবং মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ক্যান্টিনে চাকরি নেয় রাব্বি।

বিষয়টি জেনে প্রধানমন্ত্রীর মায়া হয়। তখন তিনি শিশু রাব্বির কাছে জানতে চায়, আগামীদিনে তুমি কি হতে চাও। শিশুর সরল জবাব ছিল। আমি পড়ালেখা করে মানুষ হতে চাই। এরপরই পাল্টে যায় শিশু রাব্বির জীবনের দৃশ্যপট।

এরইমধ্যে গ্রামে ফিরে রাব্বি যেনো স্কুলে ভর্তি হতে পারে। তার জন্য ৫ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই টাকা চাঁদপুরের একটি ব্যাংকে জমা রাখা হয় এবং সেই টাকার লভ্যাংশ থেকে রাব্বির শিক্ষা ব্যয় মেটানো হচ্ছে।

এদিকে গৃহহীন রাব্বির মায়ের জন্য চাঁদপুর শহরের পাশে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে জমিসহ নতুন আধাপাকা বসতঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক। সেখানে থেকেই রাব্বি পাশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয় রাব্বি।

তার মা রাজিয়া বেগম বলেন, রাব্বি আমার লক্ষ্মী ছেলে। ১৪ বছর বয়সে সে স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। তার পড়াশোনার আগ্রহ দেখে আমার আনন্দ লাগছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, শিশু রাব্বির প্রতি জেলা প্রশাসক সার্বিক খোঁজ খবর রাখছে। কোনো অবস্থায় শিশুটি যেন শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে না পড়ে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। 

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ