প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৬:০৪ পিএম
উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি কাগজপত্রের আলোকে ভেবে দেখবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় বিএনপি হরতাল-অবরোধে ফিরে গেলে আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনি কোনো সুযোগ নেই। তবে বিএনপি নেত্রীর মুক্তির আগের বাড়ানো মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে একই শর্তে মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে
আবেদনে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি ছিল- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আবেদনে বিদেশে নেয়ার বিষয়টি ছিল। কিন্তু সেই বিষয়ে আইনি কোনো সুযোগ নেই। আইনি সুযোগ থাকলে আমরা বিবেচনা করতাম।
খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারকে চিঠি দিয়েছে তার পরিবার। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নাজুক জানিয়ে ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা জরুরি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে সিটি নিউজ ঢাকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর দেয়া ওই চিঠি গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এই দুই শর্তে চলতি বছরের ২৬ মার্চ তার মুক্তির মেয়াদ ৭ম বারের মতো আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়, যা শেষ হবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর।
এ নিয়ে নির্বাহী আদেশে ৮ বারের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়।
সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় চার বছর ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/