প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৪:০৩ এএম
শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে। এরইমধ্যে কমিটির সদস্যরা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ও সানজিদা আফরিনের বক্তব্য নিয়েছেন।
এছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতারাও কমিটিকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে কথা হয়নি কমিটির।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা, ভুক্তভোগী ছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ও নিরাপত্তাকর্মীদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। বক্তব্য যাচাই–বাছাই এবং ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে জানতে কাজ করছে কমিটি। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর বারডেম হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের ওপর ছাত্রলীগ নেতাদের সহায়তায় হামলা চালান। মামুনের স্ত্রী এডিসি সানজিদাও গণমাধ্যমে এমন তথ্য দিয়েছেন।
এর জেরে ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় আটকে বেদম মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির কক্ষে তাদের মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন।
এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর এক দিন পর শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও বদলি করা হয়। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর ডিএমপি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবাবের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটি কাজ করছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/