• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
সাইবার নিরাপত্তা আইন

বিদেশিদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য অনেকের অভিযোগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০১:৩৭ এএম

বিদেশিদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য অনেকের অভিযোগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশি সাংবাদিকদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য সদ্য পাস হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে কেউ কেউ অভিযোগ করেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১৭ সেপ্টেম্বর নিউিইয়র্ক যাওয়া উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এ অধিবেশন শুরু হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে। কিন্তু কিছু সাংবাদিক, সুশীল ও নাগরিক সমাজ এটিকে স্বাগত জানায়নি। বিশ্বের কোথাও থেকে এ আইনের ক্ষেত্রে সাধুবাদ পেয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘শোনেন, আপনার মায়ের বিরুদ্ধে যদি কেউ ওয়েবসাইটে একটা বাজে কথা লিখে দেয়, তখন আপনি কী করবেন? সরকারকে গালি দেবেন। বলবেন, সরকার এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’

এ সময়ে পরামর্শ দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগে আইনটি পড়েন, পড়ে দেখেন যে এটি কী ধরনের আইন। তারপরে অভিযোগ করার থাকলে অভিযোগ করবেন। কেউ কেউ বিদেশি সংবাদমাধ্যমের অনুকম্পা পাওয়ার জন্যও অভিযোগ করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আগের আইনটি বাতিল করে নতুন আইন করা হয়েছে। সেখানে যে উদ্বেগগুলো ছিল, সবকিছুকে ভালোমতো অ্যাকোমোডেট করা হয়েছে। আশা করছি, সবাই এটি গ্রহণ করবেন।’

‘আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) প্রতিনিধিরা আগের আইনটির কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে নিয়মিতই বৈঠক করতেন। তাদের সেইসব বিষয় সামগ্রিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইনের চেয়েও কুখ্যাত আইন পশ্চিমা বিশ্বে আছে। আমার-আপনার জ্ঞানের অভাবের কারণে সবসময় সেই তুলনা করতে পারি না,’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের কেউ এ আইনটিকে স্বাগত জানায়নি কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইনটি পাস হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সমালোচনা কে করেছেন, আদৌ করেছেন কিনা; এ রকম তালিকা থাকলে আমাদের দেবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। আপনারা নিশ্চিত না কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন। সেখানে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তার স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে, তিনি যোগ দেবেন। কারণ সেখানে লম্বা লাইন করতে হয়। সে কারণে সরকারপ্রধানদের কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা চূড়ান্ত করি। আগে আমরা চূড়ান্ত করি না।’

বাংলাদেশি প্রতিনিধিরা এখান থেকে চার্টার্ড বিমান নাকি বাণিজ্যিক কোন ফ্লাইটে যাবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-লন্ডন বিমানে যাবেন। এরপর তিনি অন্য কোনো বাণিজ্যিক এয়ারলাইনে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী কতজন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সফরসঙ্গীর সংখ্যা ইদানীং খুব কমে গেছে। যারা ব্যবসায়ী, তারা নিজের পয়সায় যাবেন। কিন্তু কৃচ্ছ্রতা পালন করার জন্য সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যাটি আমি জানি না।’

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাম্ব্যাসেডর-অ্যাট-লার্জ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এরইমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম বলেছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যারা নিরাপত্তা বিষয়টি দেখেন, তারা থাকবেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা যখন গিয়েছিলাম, তখন নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আমরা মাত্র ১২ জন গিয়েছিলাম।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ