• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৩ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০১:৪২ এএম

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৩ সমঝোতা স্মারক সই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। শুক্রবার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বক্তব্য দেওয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে নয়াদিল্লির লোককল্যাণ মার্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ও মোদির এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ আগ্রহ ছিল। নির্বাচন ঘিরে সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে চায় সরকার। ধারণা করা হচ্ছিল, বৈঠকে দুই নেতা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানেন না তিনি।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তাদের মাঝে একান্ত বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তিস্তা ও অমীমাংসিত ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

মোমেন জানান, উভয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে নিমন্ত্রণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এগুলো হলো— কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন সহজীকরণ।

 

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ