• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

করোনায় মৃতদের বেশি লাশ যাচ্ছে গ্রামে

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১, ০৯:০৮ পিএম

করোনায় মৃতদের বেশি লাশ যাচ্ছে গ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুন মাসে রাজধানী ঢাকায় সরকারি হিসাবে করোনায় মারা গেছেন ৩৪৬ জন। এদের মধ্যে রাজধানীতে দাফন হয়েছে মাত্র ১২ জনের লাশ। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাকি সবার মরদেহ।

শুধু ঢাকাতেই গত এক সপ্তাহে করোনায় মারা গেছেন ৯৯ জন। মৃতের তুলনায় দাফনের সংখ্যা কম হওয়ায় নগরীর কবরস্থানগুলোতে চাপ কমেছে। দুই সিটি করপোরেশনের কবরস্থানগুলো ঘুরে তথ্য পাওয়া গেছে।

বর্তমানে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে কবরস্থান রয়েছে ৯টি। এর মধ্যে তিনটি দক্ষিণে ছয়টি উত্তরে। দক্ষিণের তিনটি হচ্ছে- আজিমপুর, জুরাইন খিলগাঁও কবরস্থান। উত্তরে আছে- উত্তরা নং সেক্টর, ১২ নং সেক্টর, বনানী, খিলগাঁও-তালতলা, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী রায়েরবাজার বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থান। ৯টি কবরস্থানের মধ্যে শুধু রায়েরবাজার কবরস্থানের নির্ধারিত কয়েকটি ব্লকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের লাশ দাফনের অনুমতি রয়েছে।

রায়েরবাজার কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার আব্দুল আজিজ জানান, গত জুনের তারিখ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মাত্র একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী মানুষের লাশ এসেছে। ২১ জুন থেকে শুক্রবার ( জুলাই) পর্যন্ত এসেছে ১১টি। সব মিলিয়ে ১২ দিনে ১২টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আগের চেয়ে এখানে এখন করোনা রোগীর লাশ কম আসছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের আর কোনো কবরস্থানে করোনা রোগীর লাশ দাফনের অনুমতি নেই। তবে বনানী মিরপুর কবরস্থানসহ যেসব কবরস্থানে কারও কবর কেনা রয়েছে তখন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দাফন করা হয়। তবে সংখ্যা হাতেগোনা।

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মোহরার মো. সানোয়ার হোসেন, বনানী কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার আব্দুল হান্নান, খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের মোহরার মো. ফেরদৌস, দক্ষিণ সিটির আজিমপুর কবরস্থানের মোহরার মাওলানা হাফিজুর রহমান, জুরাইন কবরস্থানের মোহরার মো. সাত্তার খিলগাঁও কবরস্থানের মোহরার মো. কবির; সবাই জানান, তাদের কবরস্থানে করোনা রোগীর লাশ দাফন হয় না। কেউ এমন লাশ নিয়ে এলে আমরা রায়েরবাজার নিয়ে যেতে বলি।

আগে শুধু রায়েরবাজার কবরস্থানে করোনা রোগীর দাফনের অনুমতি ছিল বলে জানান উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে ঢাকা থেকে গ্রামে লাশ নেয়ার অনুমতি ছিল না। এখন গ্রামেও লাশ দাফনের অনুমতি রয়েছে। সে কারণে রায়েরবাজারে চাপ অনেক কম।

এমআর/এম. জামান

আর্কাইভ