প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০৩:০৫ এএম
পদ্মা সেতু অতিক্রম করে প্রথম ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছে। আগে ট্র্যাক কার ও মালবাহী ট্রেন পদ্মা সেতু অতিক্রম করে রাজধানীতে প্রবেশ করলেও এই প্রথম ট্রেন প্রবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন যাবে ভাঙ্গায়।
পদ্মা সেতুতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে চলছে কর্মযজ্ঞ। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০ স্টেশনের মধ্যে শুরুর দিনেই চালু হচ্ছে পাঁচ স্টেশন। অটো সিগনাল পদ্ধতিতে আধুনিক রেল নেটওয়ার্কের নতুন মাইলফলক রচিত হতে যাচ্ছে।
রেলমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেনে ভাঙ্গা পর্যন্ত পরিদর্শনে যাবেন বৃহস্পতিবার। তাই আট বগি সম্বলিত একটি বিশেষ ট্রেন রাত পৌনে ৮টায় রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছেছে। শীতাতপ সুবিধাও রয়েছে ট্রেনটিতে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীনা ও দেশি প্রকৌশলীরা ট্রেনটিতে ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কমলাপুরের নতুনভাবে সংস্কার করা অংশ থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন রওনা হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে। পরীক্ষামূলক এই ট্রেনটি পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের স্টেশনেই যাত্রা বিরতির কথা রয়েছে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, পদ্মাসেতু এবং দুই পাড়ের রেলপথ প্রস্তুত এখন। প্রধানমন্ত্রী ১০ অক্টোবর রেল পথে পদ্মা সেতু অতিক্রমের পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত গতির ট্রেনে চড়ে রাজধানী থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুরের ভাঙ্গা যাওয়ার কথা। এর পরদিনই রেলপথ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। তাই প্রকল্প জুড়ে এখন ভীষণ ব্যস্ততা। আর পদ্মা সেতুর রেলপথ চালু এবং প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ উচ্ছ্বসিত।
প্রকৌশলীরা বলছেন, দেশের নতুন রেল নেটওয়ার্কে যুগান্তকারী এক অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পুরো প্রকল্প শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। তবে কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চালু করা হবে। এ কারণেই রেলমন্ত্রী পরীক্ষামূলক ট্রেনে ভাঙ্গা পর্যন্ত পরিদর্শনে যাবেন বৃহস্পতিবার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাঙ্গা থেকে রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, যশোরের বেনাপোল রুটে এমনকি ভারতে যাওয়ার মৈত্রী ট্রেনেরও পদ্মা সেতু ব্যবহারেরও প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যায়ক্রমে পায়রা বন্দরসহ আরও নতুন নেটওয়ার্ক যুক্ত হবে পদ্মা সেতুর রেল লাইনে। এই ৮২ কিলোমিটার রেলপথে কোন লেভেল ক্রসিং থাকছে না। ১২০ কিলোমিটার গতিতে রেল চলাচলে সব রকম দক্ষতা অর্জন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/