প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাই নির্বাচন কমিশনের বড় সার্থকতা বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, একটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। এটা সমন্বিতভাবে চাইতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অুনষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন আসন্ন, এর জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রস্তুতি ছাড়া নির্বাচন করা কঠিন। প্রস্তুতির একটি অংশ হচ্ছে যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া।
প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনার যারা আজকে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন তারা কেউ নির্বাচন কমিশনের স্থায়ী কর্মকর্তা নন, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন এবং বিভিন্ন সার্ভিস থেকে আপনারা এখানে এসেছেন। সংবিধান ও আইনে এই নির্দেশনা আছে, নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য যে কাউকে কমিশন আদেশ করতে পারে। সেই দিক থেকে ঐতিহ্যটা গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে ৯ লক্ষাধিক কর্মকর্তা সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। এটি রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলব বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদের দেয়া হবে।’
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা হুতাশ করতে হয় না। বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে থিতু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে ৩২০০ জনকে টিওটি দেয়া হবে। প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মাস্টার ট্রেইনাররা সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/