প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২১, ০৭:২৩ পিএম
যাত্রীর অপেক্ষায় ঘাটে অলস সময়
পার করছেন বুড়িগঙ্গা নদীর নৌকার মাঝিরা।
মাঝে মাঝে যে দুই
একজন যাত্রী মিলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পার
করা হচ্ছে। তবে অন্য স্বাভাবিক
সময়ের চেয়ে পর্যাপ্ত যাত্রী
না থাকায় আয়ও অনেক কমেছে।
এই আয়ের উপর নির্ভর
করে অনেকের পুরো পরিবার। যার
প্রভাব পড়ছে তাদের পরিবারের
উপর। এ যেন স্বল্পপরিসরে
চলছে মাঝিদের জীবনের বৈঠা।
রোববার
(৪ জুলাই) সকালে দেখা যায় বুড়িগঙ্গা
নদীর শ্যামবাজার ঘাট, ওয়াইজ ঘাট,
তেল ঘাট, লালকুঠি ঘাট,
ফরাশগঞ্জ ঘাট, বাদামতলী ঘাটসহ
বিভিন্ন ঘাটে নৌকার যাত্রী
নেই।
বুড়িগঙ্গা
নদীর লালকাঠি ঘাটে দীর্ঘদিন নৌকা
করে যাত্রী পার করেন মাঝি
আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, 'যাত্রী
পাই না, খাব কী?
লকডাউনের কারণে যাত্রী নেই। অল্প স্বল্প
যাত্রী বহন করে যা
পাই, ঘাট মালিকদের টাকা
দিয়ে আমাদের হাতে কিছু থাকে
না। আমাদের দেখার কেউ নেই।'
কথা
হয় শ্যামবাজার ঘাটের কয়েকজন মাঝির সঙ্গে। তারা বলেন, এখন
যাত্রী পাই না সহজে।
লকডাউনের আগে ২ থেকে
৫ মিনিট অপেক্ষা করলে নৌকা ভর্তি
হয়ে যেত। এখন আধাঘণ্টা
অপেক্ষা করেও যাত্রী পাই
না। আগে নদীতে যাত্রী
পারাপারে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৫
টাকা। ৬ জন করে
নেয়া হতো। রিজার্ভে ভাড়া
ছিল ২০ টাকা। লকডাউনের
কারণে একটি নৌকায় জনপ্রতি
১০ টাকা ভাড়ায় সর্বোচ্চ
৩ জন যাত্রী এবং
সিঙ্গেলে ৩০ টাকা নেয়া
হচ্ছে।
মাঝিরা জানান, লকডাউনের আগে তাদের দৈনিক আয় ছিল গড়ে ৫০০ টাকা। এখন তা নেমে এসেছে গড়ে দেড়শ টাকার নিচে।
সম্রাট/নির্জন