• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু কবে, জানালেন কাদের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ০৬:১৩ পিএম

মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু কবে, জানালেন কাদের

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী ১৬ অক্টোবর মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হবে। আর ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করা হবে।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যানজট নিরসনে তৈরি করা হয়েছে ‍‍`ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে‍‍`। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার প্রকল্পের প্রথম ফেইজ উদ্বোধন করা হবে।

দ্বিতীয় ফেইজের কাজও পুরোদমে চলছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যেদিকে উদ্বোধন হচ্ছে না, সেখানেও অনেক কাজ শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি, ২০২৪ সালে পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করতে পারব।

তার মতে, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যেমন সুবিধা পাচ্ছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুরো কাজ শেষ হলে ঢাকার মানুষও একইরকম সুবিধা পাবে। এখন এই ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার উদ্বোধন হলে দুই ঘণ্টার পথ মাত্র ১০ মিনিটে যাওয়া যাবে।

এ সময় মেট্রোরেল প্রকল্প নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সামান্য উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এতে আমরা যথেষ্ট সুফল পাচ্ছি। ১৬ অক্টোবর মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন উত্তরা, মিরপুর, মতিঝিল রুটে চলাচলকারী সব নাগরিক এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

বর্তমানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেইজ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত অংশ পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ২২.৫ কিলোমিটার। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে র‍্যাম্প রয়েছে ১৫টি র‍্যাম্প। র‍্যাম্পগুলো হচ্ছে— বিমানবন্দরে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয় সরণিতে ২টি এবং ফার্মগেটে ১টি। ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‍্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করবে এক্সপ্রেসওয়েটি। প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৭.২৮ শতাংশ। প্রকল্পের ভৌত কাজের দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভৌত কাজের অগ্রগতি ৫৪.২২ শতাংশ।

সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রকল্পটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। এই প্রকল্পের নির্মাণকাল ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ