প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ০১:৪৪ এএম
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে নোবেলজয়ীদের খোলা চিঠি নিয়ে কোনো কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ইন্দোনেশিয়া সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, আইনগত বিষয়ের ওপর আমরা কোনো ব্রিফিং করতে চাই না। আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে থাকার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেকের কাছে মনে হয় জিনিসটা খুব স্পষ্ট না। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক কিংবা অন্য কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি। তার বিরুদ্ধে দুটো মামলা আছে। দুনিয়াতে বহু নোবেলজয়ী আছেন, তাদের সাজাও হয়েছে।
“ড. ইউনূসের মামলার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। একজন নোবেলজয়ী হিসেবে তাকে সম্মান করি। তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখানে একটি মামলা আছে, তার কোম্পানি যে লাভ করেছে-যতদূর আমি জানি-সেই লাভের কিছু অংশ শ্রমিকদের দিতে হয়। এটা বাংলাদেশের আইন। যখন আপনি আয় করবেন, তখন পাঁচ শতাংশ লাভ শ্রমিকদের সঙ্গে শেয়ার করতে হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা শুনেছি, তার কোম্পানিগুলো শ্রমিকদের ঠকিয়েছেন।,” যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটা আদালতে ঠিক হবে। আদালতের বিষয় আমাদের বলা উচিত না। দ্বিতীয় মামলাটি তিনি অনেক লাভ করেছেন। কিন্তু লাভ করলে দুনিয়ার সব দেশের নিয়ম অনুসারে কর দিতে হয়। কিন্তু তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন। সব দেশেই কর ফাঁকি বড় ধরনের মামলা। কাজেই সরকার কোনো হয়রানিমূলক মামলা করেনি।
‘এখানে দুটি কারিগরি বিষয়, একটি হচ্ছে কর ফাঁকি দেয়া, আরেকটি হচ্ছে শ্রমিকদের পয়সা না দেয়া। আর এ কারণেই মামলা হয়েছে। যারা চিঠিপত্র দিয়েছেন, তারা হয়তো জানেন না। তারা ভেবেছেন, কোনো রাজনৈতিক কারণে হয়ত এই মামলা হয়েছে। আমি আশা করবো, যারা চিঠি লিখেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে আরও জানবেন। তারা যদি জানতে চান, আমরা অবশ্যই তাদের তথ্য দেব’, যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রণালয় নিজ উদ্যোগে কোনো কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি আইনগত বিষয়। এ বিষয়ে আমরা নিজ উদ্যোগে কিছু করবো না। আইনগত বিষয়ের ওপর আমরা কোনো আইনগত ব্রিফিং করতে চাই না। আমাদের দেশ খুবই স্বাধীন। বিদেশি বড় বড় নেতারা যদি হট্টগোল করে মামলা উঠিয়ে নিতে বলেন, আমাদের জন্য তা সম্ভব না।’
‘আমরা সেই সব নামিদামি লোকজনকে বলতে চাই, আমাদের দেশের আইনি ব্যবস্থা খুবই স্বচ্ছ। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে। আদালতকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা আমাদের নেই,’ বলেন মন্ত্রী।
বিশ্বনেতাদের বিবৃতিকে সরকার চাপ মনে করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ মনে করছি না। ইনফরমেশন গ্যাপ আছে। এসব বড় বড় নেতাকে কেউ হয়ত বলেছেন যে বাংলাদেশে এই রকম নামি লোককে হয়রানি করা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে। এখানে যথেষ্ট ইনফরমেশন গ্যাপ আছে, অজ্ঞতার কারণ আছে।’
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/