• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হিলি সীমান্তে রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপন

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৩, ০২:১৯ এএম

হিলি সীমান্তে রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপন

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দুপুর গড়িয়ে বিকেল। ভারতীয় বেশকিছু নারী ও পুরুষ ‘রাখি’ নামের পবিত্র সুতো নিয়ে আসেন হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায়। এসময় সেখানে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যসহ ব্যবসায়ীদের হাতে পরানো হয় এসব রাখি। পরে সবাইকে করানো হয় মিষ্টিমুখ।

শূন্যরেখায় দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের রাখি পরিয়ে দেন ভারতীয় নারী ও পুরুষরা। আর এর মাধ্যমে  সীমান্তের শূন্যরেখায় হয়ে গেল রাখিবন্ধন উৎসব।

ভারতের বালুরঘাট রোটারি ক্লাবের সদস্য সঞ্জিতা দাস বলেন, ‘রাখিবন্ধন উৎসব ‘রাখি পূর্ণিমা’ একটি উৎসব। এ উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে প্রীতিবন্ধনের উৎসব। হিন্দু ,মুসলিম , জৈন, বৌদ্ধ কারো মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই । তাই ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট গেটে এসেছি । সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়েছি। এ দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখি নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেবে, এটার চেয়ে আর কী ভালো হতে পারে। এ রাখিটি ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালোবাসা ও ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করবে।’

বালুরঘাট রোটারি ক্লাবের সভাপতি উত্তম আগরওয়াল বলেন, ‘রাখিবন্ধন’ ভারতের একটি জাতীয় উৎসব। আর এ উৎসবকে ঘিরে হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ দুই বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ, সম্প্রীতি ভাতৃত্ব বোধ বজায় রাখতে ভারত বিএসএফ’র উদ্যোগে রাখি বন্ধন উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। হিলি সীমান্তে শূন্য আঙিনায় দুই বাহিনীর মাঝে রাখি বন্ধন উৎসবটি যেন এবারের মতো প্রতিবছর মিলনমেলায় পরিণত হয় এমন আশা আমাদের।’

সেখানে বিএসএফের নারী সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের হাতে রাখি বেঁধে দিয়ে উভয়ের মধ্যে মঙ্গল ও সম্প্রীতি কামনায় মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অন্যদিকে বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার দেলোয়ার ভারতের বিএসএফ সদস্যদের হাতে রাখি বেঁধে, মিষ্টি খাইয়ে উৎসবে সামিল হন।

প্রতি বছর সীমান্তে এমন আয়োজনের দাবি দুই দেশের মানুষের, এতে বাড়বে দৃঢ় সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ব।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ