প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হওয়ার পরও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভূমিকা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডায় শুল্কমুক্ত সুবিধার সিদ্ধান্তে হাইকমিশনের ভূমিকার কথা জানায়।
হাইকমিশন জানায়, গত ৮ জুন কানাডার হাউজ অব কমন্স এ সংক্রান্ত বিলটি অনুমোদন করে। যেহেতু বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে, সেজন্য বাংলাদেশ যাতে এই আইনের আওতাভুক্ত থাকে সেজন্য গত দুই বছর ধরে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা, ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্স ও আইন প্রণেতাদের সঙ্গে বিশেষ করে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সঙ্গে নিয়মিতভাবে বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকমিশন প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
হাইকমিশন বলছে, বিলটি গৃহীত হওয়ার পর পররাষ্ট্রসচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও বাণিজ্য সচিবকে আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতি নির্ধারকদেরও এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। তারা সবাই এ বিষয়ে হাইকমিশনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এর পর গত জুলাই মাসে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্সে মন্ত্রীপর্যায়ের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে। সে সময় এ বিষয়ে একটি নন-পেপার হস্তান্তর করা হয়, যেখানে বাংলাদেশ যাতে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার পরেও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত এই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারে তার পক্ষে যথাযথ যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
তারা হাইকমিশনারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, এ বিষয়টি ইতিবাচক বিবেচনায় নিয়ে সদ্য গৃহীত আইনটির সময়মতো প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে কাজ করবেন। আমরা জেনেছি যে বিষয়টি নিয়ে তারা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।
হাইকমিশন আশা করছে, বাংলাদেশ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা ভোগ করবে।
হাইকমিশন জানায়, বর্তমান হাইকমিশনারের গ্রহণের পরে কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে স্মরণকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক কূটনীতির দর্শনের অংশ হিসেবে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্যের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে হাইকমিশন তৈরি পোশাকের বাইরেও কানাডার বাজারে বাংলাদেশের অন্যান্য পণ্যের বাজার সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/