• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট: যে ৪ ধারায় মিলবে না জামিন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩, ০২:১০ এএম

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট: যে ৪ ধারায় মিলবে না জামিন

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে নানা বিতর্কের পর সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৮ আগস্ট) খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়। এই আইনে চারটি অজামিনযোগ্য ধারা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান চারটি ধারা অজামিনযোগ্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিগত অনুমোদনের সময় যে খসড়াটি ছিল, সেখানে দুই-একটি সংজ্ঞাসহ সামান্য কিছু পরিমার্জন করে আজ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আইনের ১৭, ১৯, ২৭ ও ৩৩ এ চারটি ধারা অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনি প্রবেশ (ধারা-১৭), কম্পিউটার ও কম্পিউটার সিস্টেমে ইত্যাদির ক্ষতি সাধন (ধারা-১৯), সাইবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠনের অপরাধ (ধারা-২৭), হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ (ধারা-৩৩)- এগুলো অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে।

এছাড়া নতুন আইনে বিভিন্ন বিষয় স্পষ্টিকরণ হয়েছে। আর জরিমানার ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি বলেও জানান সচিব।

নতুন আইন হলে আগের আইনের মামলাগুলোর বিষয়ে কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের রহিতকরণ একটা ধারা থাকে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’-এর অধীনে অনিষ্পন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে এবং অনুরূপ মামলায় প্রদত্ত আদেশ, রায় বা শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে এমনভাবে পরিচালিত ও নিষ্পত্তি হবে যেন ওই আইন রহিত হয়নি। ওই অংশটুকু আগের আইনেই চলবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত আগের আইনের যে সব কার্যক্রম ছিল ওই আইনেই সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে।

আইনের খসড়ার অনুমোদনে স্টেক হোল্ডারদের কোনো মতামত নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এটি আপনি ওই মন্ত্রণালয়কে (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ) জিজ্ঞাসা করলে ভালো হবে। আমাদের কাছে খসড়াটা চলে আসে, প্রসেসটা আমাদের কাছে আসে না।’

সাইবার আইনের সংজ্ঞার বিষযয়ে জানতে চাইলে সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বাইরে ও বাংলাদেশের ভেতর থেকে কেউ যখন কোনো কিছু করে, কোন কাজটা করলে অপরাধ হবে সেখানে ‘ডিজিটাল ডিভাইস’ শব্দটা বসানো হয়েছে। একটা ধারায় ছিল ‘জাতির পিতা’ সেটা বাদ দিয়ে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ করা হয়েছে। এটা মেজর কিছু না, স্পষ্টিকরণ করা হয়েছে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ