প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৩, ০১:৪৬ এএম
বাংলাদেশকে নিয়ে চীনের আগ্রহ এই দেশটির অর্থনৈতিক সক্ষমতা নির্দেশ করে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। এছাড়া সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার ফলে তা দ্রুত কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় এক ঘন্টার এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শি প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন যে, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির ইস্যুতে বাংলাদেশকেই সমর্থন দেবে চীন।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সদস্যপদ চাওয়াটা স্বাভাবিক। এতে বাংলাদেশেরই লাভ; কিন্তু ব্রিকস সদস্যরাও বাংলাদেশকে চাইবে। সাধারণত এ ধরনের সামিটে সাইডলাইনের আলোচনা হলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা থাকে।
ব্রিকসে নতুন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের সদস্যপদ ছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দু‘নেতার মধ্যে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ ধরনের প্রতিশ্রুতি হলে তা দ্রুত কার্যকর হয়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানের মতে, যেহেতু দুই দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের মধ্যে এরকম আলোচনা হয়েছে তাই এর একটা প্রতিক্রিয়া আমরা অদূর ভবিষ্যতে দেখতে পাবো বলে আশা করছি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা আরও মনে করেন, পরাশক্তিগুলোর বাংলাদেশের দিকে আগ্রহ থাকার কারণ অর্থনৈতিক সক্ষমতা। সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাইডলাইন বৈঠকগুলো দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলেও মনে করেন তারা।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/