প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৩, ০২:৫৯ এএম
গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রোববার (২০ আগস্ট) ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা নিয়ে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণীতে তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের চলমান গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সব রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘২১ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি শোকাবহ ও ভয়াল হত্যাযজ্ঞের দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আমি ২১ আগস্টের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও শহীদ হন দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মীসহ অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, সারা শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে আজও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তারা। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করবে- এ প্রত্যাশা করি।
তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/