প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম
বিরোধী দলগুলোর শঙ্কা থেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) পরিবর্তে ব্যালট বেছে নেয়া হয়েছে। তাহলে ভোট নিয়ে শঙ্কা কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে কোনো চাপ দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইভিএম না ব্যালট–এমন বিতর্কের মধ্যেই স্থানীয় সরকারের প্রায় সব কটি নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে আস্থা রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলের সংলাপে কিংবা রাজনৈতিক সভায় বিরোধী দলগুলোর একটি অংশ সরাসরি এই ভোটিং মেশিনের বিরোধিতার মধ্যেও আসছে নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইসি। যদিও সরকারি দল বরাবরই ছিল ইভিএমের পক্ষে।
তবে প্রকল্প শেষ হলেও আর বাজেট বরাদ্দ না পেয়ে বন্ধ হয় প্রকল্প। সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর হচ্ছে না ইভিএমের ব্যবহার। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, বরাদ্দ স্বল্পতা নয়; বরং বিরোধী দলের শঙ্কা থেকেই নেয়া হয়েছে শতভাগ ব্যালটের সিদ্ধান্ত।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিশেষ করে যারা সরকারে নেই, তারা সবাই ব্যালটেই ভোট চেয়েছেন। নিশ্চয়ই ব্যালটে তারা শঙ্কা বোধ করেনি বিধায় এমনটা চেয়েছে। তারা মনে করেছে, ইভিএমের চেয়ে ব্যালটই ভালো। এখন আমরা তো ব্যালটেই করছি। তাই এখানে তো আর তাদের শঙ্কার জায়গা নেই।
ইভিএম না ব্যালট–এই সমস্যার সমাধান হলেও রাজনৈতিক মাঠ যখন গরম তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে, তখন এই কমিশনার জানালেন সংবিধান মেনে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে তাদের কোনো বাড়তি চাপ হবে না।
তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যত দায়িত্ব পালন করেছি, সঠিকভাবেই তা সম্পন্ন করতে পেরেছি। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমাদেরকে কোনো দলই চাপ প্রয়োগ করেনি। চাপ প্রয়োগ করার কোনো সুযোগও নেই।
কমিশনের রোডম্যাপ অনুসারে নভেম্বরে তফসিল আর ভোট হবে ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির শুরুতে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/