প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০৩:১৭ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এফবিআইকে দিয়ে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং নাতনি সোফিয়াকে কিডন্যাপ করার পরিকল্পনা করেছিল৷
শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি বলেন, কই আমরা তো কখনো এমন করিনি৷
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে ঘরে নিতে চাননি৷ জাতির পিতা জিয়াউর রহমানকে বুঝিয়েছিলেন বলে, তাদের সংসারটা টিকেছিল৷ যার ফলে খালেদা জিয়া নিজেকে বেগম জিয়া বলে পরিচয় দিতে পারেন!
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেছিল ভোট চুরির অপরাধে৷ কেননা, এ দেশের মানুষ ভোট চুরি করলে তা সহ্যও করে না৷ মেনেও নেয় না৷ তারা আবার এখন এসেছে, ভোট নিয়ে বড় বড় কথা বলতে৷
মানুষের মন জয় করে আওয়ামী লীগ সবসময় ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে কখনো ভোটচুরি করতে হয়নি৷ সবসময় জনপ্রিয়তায় মানুষ এই দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে৷ চোরের দল করেনি এমন কোনো অপকর্ম নেই৷ যে দলের নেতারাই সাজাপ্রাপ্ত; তারা দেশকে কী দেবে?
তিনি বলেন, বিএনপির সময়ে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে টাকা না দিয়ে কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারতো না৷ তারা শুধু লুটপাট করেছে, দেশের মানুষকে কিছু দেয়নি৷ লুটপাট ছাড়া তারা এতো টাকা কোথায় পেলো৷ এসবের জবাব মানুষের কাছে তাদেরকে দিতে হবে৷ দেশের সর্বস্তরের মানুষ অত্যাচারিত, নির্যাতিত ছিল৷
শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কাছে কোনো মা-বোন নিরাপদ ছিল না৷ সমাজের হিন্দু-মুসলমান-খ্রিষ্টান কেউই বাদ যায়নি৷ এমন ঘটনা তারা ঘটিয়েছিল ২০০১ এ ক্ষমতায় আসার পর৷ অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তারা শতশত মানুষ হত্যা করেছিল৷ সিআরআইয়ের অফিস থেকে ফাইলপত্র গায়েব হয়েছিল ওই সময়৷ এভাবেই তারা অত্যাচার করেছিল৷ যেখানেই আমরা মিটিং করতাম, সেখানেই বিএনপির গ্রেনেড বোমার আক্রমণ শুরু হয়ে যেত৷
তিনি বলেন, এমনকি পার্লামেন্টেও এসব নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিতো না৷ তারা প্রকাশ্যেই বলতো, আরেকটা ১৫ আগস্ট ঘটাবে৷ তারা নাকি আমাকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলবে৷ তো এসবের জবাব কি বিএনপি নেতারা দেবেন?
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/