প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০২:৪৭ এএম
গেল এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারি বর্ষণে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা রাঙামাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ভেসে গেছে কৃষকের ক্ষেতের ফসল। বিভিন্ন উপজেলা পানিবন্দি হয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিল প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। চলমান এই অবস্থায় রাঙামাটিতে শুধু ক্ষতিই হয়েছে তেমনটা কিন্তু নয়। রয়েছে সুখরবও।
বৃষ্টিপাতে হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) এই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২০১ মেগাওয়াট। যা চলতি বছরের সর্বাধিক উৎপাদন।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রুলকার্ভ অনুযায়ী এ সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানি মজুদ থাকার কথা ৯২.৭২ এমএসএল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বর্তমানে হ্রদে পানি মজুদ আছে ১০১.৪৬ এমএসএল।
ফলে পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট সচল করা হয়েছে। এতে ১ ও ২ নং ইউনিট থেকে ৪৬ মেগাওয়াট, ৩ ও ৪ নং ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫ নং ইউনিট থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। তবে ৩, ৪ ও ৫ নং ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ৫০ মেগাওয়াট করে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান কাপ্তাই পানি না থাকায় গেল এক মাস ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে এসেছিল ২৫ মেগাওয়াটে। কিন্তু এই কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের ফলে হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়া আমাদের কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়ে গেছে। শনিবার আমরা জাতীয় গ্রিডে ২০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছি। পানি আরও বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। আর কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৭ এমএসএল।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/