প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০১:৫৬ এএম
সাইবার নিরাপত্তার বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। আন্তর্জাতিকসহ ৫ বছরের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে। এটি আজকে উপস্থাপিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। আলোচনার মাধ্যমে লেজিসলেটিভ (আইন প্রণয়ন) বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ভেটিং করে তারপর তারা ফাইনাল করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ সালে অনুমোদনের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমাদের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা হয়েছে। অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সারা বিশ্বে আইসিটি সংক্রান্ত বিষয় ছিল। সেটির কিন্তু অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আইসিটি সংক্রান্ত বিশ্বের যে ব্যাপ্তি কিংবা ধরণ রয়েছে, তার বেশ পরিবর্তন এসেছে। সেসব কিছুকে বিবেচনায় রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটা আইন করা হয়েছে। সেট প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন সাইবার নিরাপত্তার যে বিষয়টি মানে দেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় যে বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, সেজন্য সরকার মনে করেছে সাইবার নিরাপত্তার জন্য একটা আইন দরকার। সে আইন করতে গিয়ে আগের আইন থেকে কিছু ধারা, কিছু বিষয় এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ আইনের আওতায় একটি এজেন্সি থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, নাম হবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। সাইবার সংক্রান্ত কিছু অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেই অপরাধের জন্য শাস্তির মাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আগের আইনের কাঠামোতে মূলত জামিনঅযোগ্য ধারা অনেক বেশি ছিল। এখানে এসে বেশির ভাগ জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
এজেন্সির কাজ কি- জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, আগে ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি। নতুন যেটা হবে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি। এটার ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সাজার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে জেলের ওপরে ফোকাসটা বেশি ছিল। এখানে এসে জেলের সাজার পরিমাণটা কমানো হয়েছে; কিন্তু আবার আর্থিক জরিমানার অংশ রাখা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেসিক বিষয় এটাই।’
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/