• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জনগণ ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩, ০৩:১৯ এএম

জনগণ ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই: শেখ হাসিনা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ শুধু দেশের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষের শক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগের শক্তি। আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নাই। জনগণই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রভু। জনগণের কাছে আমরা দায়বদ্ধ।’

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ বর্ধিত সভায়’ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে কাজ করি। নির্বাচনের সময় জনগণের কাছেই আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা দেই—কতটুকু করতে পেরেছি, ভবিষ্যতে আমরা কী করব।’

ভবিষ্যতে জনগণকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে আমি আহ্বান করব, তাঁরা কি চান বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে চলুক? বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মালিক, তাঁরা যদি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, প্রতিষ্ঠিত হবে, তাহলে নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ভোট পেলেই এটা সম্ভব হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরতে নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য আওয়ামী লীগই কাজ করেছে। আগে অন্য কেউ কোনো দিন মানুষের কথা ভাবেনি, কিছু করেনি। সেই কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, পরিবর্তন এনেছি সেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে দেব, সেগুলো আপনারা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন।’

জনগণের কাছে উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল এই সাড়ে ১৪ বছরে এই বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে, সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে বলে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মান পেয়েছে।’

দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আজকে দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগে ছিল সেখান থেকে নামিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।’

ভবিষ্যতে ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলে দেশে দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে আনার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক অর্থনীতিবিদ লিখেছেন কোন দুটি বিশেষ এনজিও ক্ষুদ্র ঋণে দেশে দারিদ্র্য কমেছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯–এ সরকার গঠন করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করেই তো আজকে আমরা দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। কোনো বিশেষ এনজিওর ক্ষুদ্র ঋণে যদি দারিদ্র্য কমে তবে এই ১৮ ভাগ আগে কেন হয়নি?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা বলে এনজিও ক্ষুদ্র ঋণে দারিদ্র্য কমেছে তারা কোন অঙ্কে হিসাব করেন? দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি প্রতিটি কর্মসূচি গণমুখী।’

তিনি বলেন, ‘জনগণকে দারিদ্র্য মুক্ত করা, জনগণের শিক্ষার হার বাড়ানো, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দেওয়া, তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলেই এই দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে। কোন এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য হ্রাস পায় নাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উচ্চ সুদে যারা কাজ করবে তারা দারিদ্র্য মুক্ত হতে পারে না বরং তারা ঋণগ্রস্ত হয়ে, ঋণের ওপরই জীবন যাপন করতে হয়। কখনো তাদের আত্মহত্যা করতে হয়েছে, কখনো জমি-জমা সব বেচতে হয়েছে।’

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ