প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৩, ০১:২৮ এএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রংপুরে কখনও মঙ্গা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার রংপুরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির শুরু হয়েছিল। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছিল। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসে এই রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলায় ও বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি ঘুরেছি। আমি সে সময় মানুষের হাহাকার দেখেছি। আমার প্রতিজ্ঞা ছিল, যখনই সরকার গঠন করতে পারব, এই মানুষগুলোর ভাগ্য আমরা পরিবর্তন করব। যে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশে আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর রংপুরে কখনও মঙ্গা হয়নি, রংপুরে কখনো খাদ্যের অভাব দেখা দেয়নি, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়নি। বাংলাদেশে আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই বিভাগের জন্য উপযুক্ত সব ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এ বিভাগকে আমরা পরিপূর্ণ করেছি। সিটি করপোরেশন হয়েছে এখানে।’
`৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে উত্তরবঙ্গে মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য যমুনা নদীর ওপর রেললাইনসহ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দিয়েছি। অল্প সময়ে রাজধানীতে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছি,` যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম তখনও মঙ্গা ছিল না। কিন্তু ২০০১ সালে যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে তখন তার ছেলেরাসহ তাদের লোকজন দুই হাতে টাকাপয়সা লুট করে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আবার মঙ্গা শুরু হয়। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি। তারপর থেকে এ দেশের কোনো মানুষের আর কষ্ট হয়নি। আমরা এই সাড়ে ১৪ বছর প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ যুবকের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করেছি। ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে ট্রেনিং দিয়েছি।’
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে তিনি ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এরপর রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশ মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের উদ্দেশে রওনা করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসে আসেন। সেখানে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভা শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডের উদ্দেশে সড়কপথে রওনা দেবেন। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/