প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩, ০২:১৩ এএম
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার ঘটনাকে `গোপন কক্ষে নৌকার কেন্দ্র সচিব প্রবেশ করেছে` শিরোনামে করা সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মেশিন নষ্ট হওয়ায় ভোটাররা ভোট দিতে না পারায় নৌকার প্রার্থীর কেন্দ্র সচিব সেটি দেখতে যাওয়ার বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কেন্দ্র সচিবের। ছোট বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে বলেও দাবি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার।
রোববার (৩০ জুলাই) ভোট চলাকালে সকাল ১১টায় ফজলুল হাজেরা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের তিন নম্বর কক্ষের সামনে জটলা দেখা যায়। এ সময় কক্ষের ভেতরে ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন অন্য কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম মেশিন ঠিক করার চেষ্টা করতে থাকেন। এ সময় মেশিন নষ্টের কারণে ভোট দিতে না পারায় কক্ষের ভেতর যেমন জটলা হয়ে যায়, তেমনি হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
এ সময় ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে চলে যাচ্ছিলেন। তা দেখে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন নৌকা প্রার্থীর কেন্দ্র সচিব খোকন দেবনাথ। গোপন বুথে কেন ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না, সেটি দেখার চেষ্টা করেন তিনি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে তিনি ভোট নেয়ার জন্য তাগাদা দেন।
পরে এ নিয়ে `গোপন কক্ষে নৌকার কেন্দ্র সচিব প্রবেশ করেছে` শিরোনামে একটি অনলাইনে সংবাদ প্রচার করা হয়।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদটি করা হয়েছে উল্লেখ করে খোকন দেবনাথ সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, `বেলা ১১ টায় হঠাৎ করে বুথের মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। পরপর তিনবার নষ্ট হয়েছে। এ সময় যারা নৌকার ভোটার ছিলেন তারা ভোট দিতে পারছিলেন না। সেই সাথে ভোটাররা যে প্রতীকে চাপ দিচ্ছিলেন, সেটি ও কাজ করছিল না। অনেকে ভোট কিভাবে দিতে হয় সেটি বুঝতে পারছিলেন না।’
`আমি কেন্দ্র সচিব হওয়ায় কেন সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারছিল না সেটা দেখতে গিয়েছি। গোপন কক্ষে দীর্ঘ লাইনের সারি হয়ে যাওয়ায় সেটি দেখছিলাম। প্রতীকে চাপ না পড়ায় কয়েকজন ভোটারকে সেটি দেখিয়ে দিচ্ছিলাম। মূলত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে বারবার বলছিলাম, অভিযোগ জানাচ্ছিলাম, ইভিএম মেশিন ঠিক করার জন্য। আমাদের ভোটাররা ভোট না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন`, যোগ করেন তিনি।
খোকন দেবনাথ আরও বলেন, ‘এ সময় সেখানে কয়েকজন সাংবাদিকও ছিলেন। মেশিন নষ্ট হওয়ার বিষয়টিও তাদেরকে জানিয়েছিলাম। তারা কক্ষ থেকে বের হয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিউজটি করেছে। যা কোনোভাবেই সত্য নয়।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, গোপন কক্ষে ঢুকে দেখিয়ে দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। বেলা ১২টার দিকে হঠাৎ করেই ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় আমি মেশিন ঠিক করার চেষ্টা করার জন্য বের হই। মেশিন নষ্ট হওয়ায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। জটলা তৈরি হয়। অনেক ভোটার চলেও যাচ্ছিলেন। এ কারণে হয়ত নৌকার কেন্দ্র সচিব ভেতরে প্রবেশ করেন। মেশিন ঠিক করার জন্য বলতে থাকেন। অসৎ উপায়ে ইভিএমে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/