• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
ভোক্তা মহাপরিচালক

খোলা ভোজ্যতেল বিপণন ও বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩, ০২:৩০ এএম

খোলা ভোজ্যতেল বিপণন ও বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জমান। তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির বিষয়ে অধিদপ্তর অতিসত্বর তদারকি কার্যক্রম গ্রহণ করবে মর্মে ভোজ্যতেল রিফাইনারিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশে কার্যক্রম অবহিতকরণ এবং অধিদপ্তরের সহযোগিতা প্রদান সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা জানান।

ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, আমরা যৌথ উদ্যোগে রিফাইনারিগুলোসহ অংশীজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা আয়োজন করতে পারি। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খোলা তেলের ক্ষতিকর দিকগুলো ভোক্তাদের নিকট তুলে ধরে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সংক্রান্ত এডভোকেসি কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজকের আয়োজিত সভাটি জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানটির এই উদ্যোগে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর ড. আবরার বলেন, খোলা ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মান অনুযায়ী ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় না। তাছাড়া খোলা তেলের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড কন্টেইনার না হওয়ায় তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং রিফাইনিং প্রসেসে ব্লিচিং করে তেলের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমেও এর গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা।

 

বিএস/

আর্কাইভ