প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ০৩:৫২ এএম
বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি দেশব্যাপী যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা। ৬ দফা দাবি আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল তারা।
সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে মালিক সমিতির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম আলোচনা করতে। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনো ধরনের মামলা দেওয়া হবে না, নীতিমালা হওয়ার আগ পর্যন্ত। তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন, যেহেতু এই মুহূর্তে ডেঙ্গু মহামারির মতো ধারণ করতে যাচ্ছে, তাই এই সময়ে যেন আমরা কোনো আন্দোলনে না নামি।
গোলাম মোস্তফা বলেন, তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে এবং বিআরটিআর চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়েছেন তিন মাসের মধ্যে নীতিমালা করে দেওয়া হবে। এই দুই আশ্বাসে আমরা আপাতত আমাদের ধর্মঘট স্থগিত করছি। যদি আগামী তিন মাসের মধ্যে নীতিমালা না হয় তখন আর সময় দিয়ে নয়, সরাসরি ধর্মঘটে নেমে যাবো।
এর আগে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের নীতিমালা করতে হবে। বিআরটিএ অনেক আগেই এই বিষয়ে কমিটি গঠন করেছে। দ্রুত এটি হয়ে যাবে, সেখানে সব বিষয় উঠে আসবে। রাস্তায় যাতে চালকদের কোনো হয়রানি না করা হয় এজন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে জানানো হয়েছে।
দেশের সব সড়ক ও সেতুতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য টোল ফ্রি করাসহ ৬ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। যা সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমিতির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- অ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রাইভেটকারের মতো বিআরটিএকে আয়কর (এটিআই) নেওয়া বন্ধ করতে হবে; অনতিবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে; দেশের প্রত্যেকটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা দিতে হবে; রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল ও গ্যাস নিতে ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সড়কে হয়রানি মুক্ত ও নিবিঘ্নে পথচলা নিশ্চিত করতে হবে।