• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গণসঙ্গীত মানেই ফকির আলমগীর : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩, ০৩:১৭ এএম

গণসঙ্গীত মানেই ফকির আলমগীর : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পপগানের সম্রাট বলতে আমরা আজম খানকে বুঝি। একইভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীতের স্বনামধন্য শিল্পী সনজিদা খাতুন, নজরুল সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যেমন ফিরোজা বেগম। তেমনি গণসঙ্গীত মানেই ফকির আলমগীর। বাংলাদেশের গণসঙ্গীতের জনক তিনি। তার গানে ফুটে ওঠেছে গণমানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সংগ্রাম প্রভৃতির নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। সেজন্য তার গান গণমানুষের কাছে এত জনপ্রিয়। ফকির আলমগীরের গান সাধারণ মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে।

রোববার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জননন্দিত গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের দ্বিতীয় প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত ‍‍`কথা-গানে ফকির আলমগীরকে স্মরণ‍‍` ও ‍‍`স্মৃতিপদক প্রদান‍‍` অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, ফকির আলমগীরবিহীন পহেলা বৈশাখ ও গণসংগীত সংশ্লিষ্ট যেকোনো আয়োজন পূর্ণতা পায় না। ফকির আলমগীরের নামে আজ রাজধানীর একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। সেজন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নামে যাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হয়, সেজন্য মেয়রকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব।

প্রতিমন্ত্রী এসময় ফকির আলমগীরের দ্বিতীয় প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি বেগম সুরাইয়া আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ এবং পল্লীমা সংসদের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না। ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সহসভাপতি ফকির সিরাজ। বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।

অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং কণ্ঠযোদ্ধা সুজেয় শ্যামকে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‍‍`ফকির আলমগীর স্মৃতিপদক‍‍` প্রদান করা হয়। 

সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী লায়লা আফরোজ, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, রফিকুল ইসলাম ও মাসুম আজিজুল বাসার। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে গণসঙ্গীত দল ক্রান্তি, উদীচী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, পঞ্চভাস্কর, আনন্দন, ভিন্নধারা, উজান, সমন্বর, সুরসাগর, সুরতাল, উঠোন ও ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী।

 

বিএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ