প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩, ১২:২৭ এএম
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছে ইসি। বিএনএম বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছেন এক আইনজীবী। আজ রোববার আলী নাছের খান নামের ওই আইনজীবী ইসি সচিব বরাবর লিখিত আপত্তি জানান। তাতে তিনি দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার অনুরোধ করেন।
তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি থাকলে তা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। আপত্তি নিস্পত্তি শেষে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসপির বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তিকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে দেখানোর লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে।
বিএনএমের বিষয়ে আইনজীবী আলী নাছের খান তাঁর লিখিত আপত্তিতে দাবি করেন, ইসি বিএনএমের কিছু তথ্য পুনর্যাচাইয়ের জন্য একটি নির্দেশনা জারি করেছিল। ওই নির্দেশনার চিঠিতে প্রতীয়মান হয়, মাঠপর্যায়ের যাচাই-বাছাইয়ে বিএনএমের ৮০টি উপজেলার তথ্য সম্পূর্ণ ঠিক পাওয়া গেছে এবং ২০টি উপজেলা-থানার আংশিক বা সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। কমিশন ওই চিঠিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ সঠিক পাওয়া যায়নি, এমন উপজেলা ও থানাগুলোর ১০ শতাংশ অর্থাৎ মাত্র ২টি উপজেলা (রাজশাহী জেলার বাগমারা ও পুঠিয়া উপজেলা) পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ কমিশনের নিজের তথ্য ও বক্তব্য অনুযায়ী যে ৮টি উপজেলায় বিএনএমের সম্পূর্ণ বা আংশিক সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি, তা যাচাই–বাছাই না করেই এই দলটিকে ‘সকল শর্ত পূরণ করেছে’ মর্মে নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে। কমিশনের নিজের দেওয়া তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী এই স্ববিরোধী ভুল সিদ্ধান্তের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ। এই ভুলের জন্য ভবিষ্যতে কমিশনকে মারাত্মক আইনি চ্যালেঞ্জ এমনকি বিচারের মুখেমুখিও হতে হতে পারে।
আপত্তিতে বলা হয়, কমিশন যদি এ রকম ত্রুটি এবং বিভ্রান্তিকর পন্থায় একটি দলকে নিবন্ধন দেয়, তাহলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে। যা সংবিধান ও আইনের প্রতি চরম লঙ্ঘন। আপত্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিএনএম সম্পর্কে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে দলটি কার্যকর রাজনৈতিক দল নয়, বরং ভুঁইফোড় অকার্যকর রাজনৈতিক দল।