• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযানে কোটি টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৩, ০২:২১ এএম

ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযানে কোটি টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হয়ে আজ (সোমবার) পর্যন্ত টানা ১০ দিনে মশকনিধন অভিযানে ১৩৩টি মামলায় মোট ৯৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশকনিধন অভিযানের দশম দিনে সোমবার (১৭ জুলাই) এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৩টি মামলায় মোট ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, আজকের অভিযানে ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বেজমেন্টে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

dhakapost

অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন রায়ের বাজার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশকনিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ৪টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ফার্মগেটে অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান।

অঞ্চল ১ ও ৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।

এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ৬০ ফিট ও পশ্চিম মনিপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৯০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। ৬টি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন পশ্চিম নূরের চালা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ মোট ৩১০টি স্পট পরিদর্শন করা হয়। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

বিএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ