• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শিক্ষকদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শিক্ষকদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। গত ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির আজ সপ্তম দিনে প্রেসক্লাব এলাকায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। এতে পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। যানবাহনগুলো ওই পথ এড়িয়ে বিকল্প পথে চলাচল করছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা রাস্তায় অবস্থান শুরু করে। এ অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ।

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষক নেতারা বলেন, আমাদের একটাই দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ চাই। আজ সারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষক রাজপথে নেমেছে। সব স্কুলে তালা ঝুলছে। আমাদের দাবি মানা না হলে স্কুলে তালা ঝুলবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই তিনি যেন শিক্ষকদের অসহায় আর্তনাদের দিকে তাকান।

তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষকতাকে এখনও পেশা হিসেবে না দেখে ব্রত হিসেবে দেখা হয়। তাই রাষ্ট্রীয় বাজেটে শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয় না। রাষ্ট্র চায় শিক্ষকরা কোনোমতে খেয়ে-পরে রাষ্ট্র বিনির্মাণকে মহান ব্রত মনে করে নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালন করুক। স্বাধীনতার এতবছর পরেও আমরা জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে সঠিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারিনি। এ যাবৎকালে রাষ্ট্র কখনও মনে করেনি যে শিক্ষাসহ টেকসই উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা ও অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসেছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার হাতরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজনীন সুলতানা। সিটি নিউজ ঢাকার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের একটাই দাবি জাতীয়করণ না করে ঘরে ফিরবো না। আমরা করিমগঞ্জের ১৯টি স্কুলের সবাই এসেছি। অবস্থান কর্মসূচি থেকেই জাতীয়করণের সুখবর শুনতে চাই। আমরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত হচ্ছি। এভাবে আর চলতে পারে না।

কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলা কাচিলাহাটি দামিয়া রাহালা উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। আমাদের দাবি মানতেই হবে। আজ শিক্ষকদের জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাব। এক দেশে দুই নীতি চলতে পারে না। আজ বাংলাদেশের সব শিক্ষক এক হয়েছে।

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ