• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

উপাচার্যের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০১:২৮ এএম

উপাচার্যের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের লিখিত আশ্বাসে সড়ক ছাড়লেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তবে আগামী সাত দিন তারা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার (১৬ জুলাই) বিকালে শাহবাগ থেকে কাঁটাবন অভিমুখের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন উপাচার্য।

এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তোমরা এক সপ্তাহ সময় দাও। তোমাদের দাবির বিষয়ে কথা বলে ভালো খবর দেব।

Open photo

চিকিৎসকদের অবরোধে শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর প্রেক্ষিতে সড়ক ছেড়ে যান আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তবে এই সাত দিন কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তাদের প্রতিনিধি ডাক্তার জাবির হোসেন।

স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আজও চিকিৎসকদের দাবির বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বাহিরে রয়েছেন। আজকে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আমরা সাক্ষাৎ করব। আমি তোমাদের আশ্বাস দিচ্ছি, যেহেতু মন্ত্রী দেশের বাহিরে আমাকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দাও।’

তিনি বলেন, 

নিয়মিত ভাতা, বকেয়া ভাতাসহ তোমাদের যে দাবি ছিল সে দাবিগুলো আমরা পূরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে আমি তোমাদের কথা শুনেছি। তোমাদের ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে আমাদের শিক্ষক কথা বলেছেন।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপাচার্য বলেন, ‘তোমারা সড়কটা ছেড়ে দাও এবং তোমাদের পড়াশোনায় ফিরে যাও। আমি সময় চাইছি, আমাকে সময় দাও। রাজি না হলে যা মন চায় কর।’

এর আগে দুপুরে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে শাহবাগ মোড়ে আসতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কেউ সড়ক ছেড়ে যাবেন না।

[63029

চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ডাক্তার তুহিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমারা এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গেছি। আমাদের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে কথা বলেছিল। সেখানে আমরা তিন ঘণ্টা বসেও সাক্ষাৎ করতে পারিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর পিএস আমাদের কাছে ২ দিনের সময় চাওয়ার পর আমরা আমাদের দাবির কোনো অগ্রগতি দেখিনি।’

 

জেকেএস/

আর্কাইভ