• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম

দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাব: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছেন এবং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাবেন।

রোববার (১৬ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ‍‍`অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান‍‍` অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,

অনেক ঝড় ঝাপটা থাকলেও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত ও স্থিতিশীল সরকার আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ‍‍`যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আঁশ‍‍` কাজ করে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট সময়ে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি, আমরা নির্বাচনী ওয়াদা রক্ষা করি। আমরা বাংলাদেশকে যে বদলে দিতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পেরেছি। শুধু শিক্ষা নয়, সার্বিকভাবে দেশকে উন্নত করতে পেরেছি। যার কারণে দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। পরনির্ভরশীলতা থেকে আত্মমর্যাদাশীল হতে হবে।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর শিক্ষাসহ দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক শাসকরা অস্ত্র তুলে দেয় মেধাবীদের হাতে, তাদের অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, এটা বিএনপি জামায়াত কখনোই চায়নি। মানুষকে পদদলিত রাখা, অন্ধকারে রাখা, শোষণ করা আর নিজেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া...এটাই বিএনপির চেষ্টা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থী হত্যা এরকম অবস্থা দেখতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে ৬ বছরের শিশু থেকে কেউই বাদ যায়নি বিএনপি-জামায়াতের নিগ্রহ থেকে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ‍‍`অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান‍‍` অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

১/১১‍‍`র ইমার্জেন্সি আসার পর আমাকেই আগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে, গণস্বাক্ষর পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আন্তর্জাতিক চাপও তৈরি হয়। তারা বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিতে। কখনো ঘাবড়াইনি, আত্মবিশ্বাস ছিল দেশের মানুষের ওপর। নানা প্রলোভন দেয়া হয়। নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় রাখা হবে--এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। বলেছিলাম আমাকে এসব লোভ দেখিয়ে লাভ নেই।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ