প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৩, ০২:১৯ এএম
সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকারি দফতরের তথ্য ফাঁসের ঘটনায়, সংশ্লিষ্ট দফতরের সক্ষমতা ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
সোমবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাবের) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, ‘একটি সফটওয়্যার যতই ভালো হোক না কেন নিয়মিত এটি মেইনটেন করতে হবে। দামী সফটওয়্যার মেইনটেইন না করলে একসময় সেটিও নাজুক হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে দফতরগুলো যে সফটওয়্যারই ব্যবহার করুক না কেন; সক্ষমতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সেগুলো মেইনটেইন করতে জানতে হবে।’
সরকারি প্রতিষ্ঠান এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নিয়ে রাসেল বলেন,
এটুআই`র থেকে আমরা বেশি জ্ঞান রাখি। বাংলাদেশে আইসিটি খাতে যেসব উন্নয়ন হয়েছে; তার সিংহভাগ প্রাইভেট সেক্টরের হাত ধরে হয়েছে।
`আমরা সরকারকে বলেছি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অটোমেশন বা ভ্যাট অটোমেশনের কাজে আমরা সাহায্য করতে পারব। প্রাইভেট সেক্টর বলে যে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম কম আছে এমন না,’ বলেন বেসিস সভাপতি।
এর আগে রোববার (৯ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কর্মকর্তাদের কেউ কেউ তথ্য সুরক্ষার গাইডলাইনগুলো ঠিকমত অনুসরণ করছেন না। যার কারণে এরকম ঘটনা ঘটছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে সেখানে কারিগরি ত্রুটি ছিল। এটি সাইবার অপরাধী বা হ্যাকারদের দ্বারা আক্রান্ত হয়নি।
চলতি মাসের ৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ পেয়েছে যা ঝুঁকিপূর্ণ।
জেকেএস/