প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৩, ০৩:০৯ এএম
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশনের (জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের আরও চারটি পণ্য। এগুলো হলো- বগুড়ার বিখ্যাত দই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া, আশ্বিনা আম এবং শেরপুরের তুলসীমালা ধান। এ নিয়ে স্বীকৃতি পাওয়া খাবারসহ অন্যান্য পণ্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫টি।
জিআই স্বীকৃতির মাধ্যমে কোনো পণ্য নির্দিষ্ট এলাকার বলে চিহ্নিত হয়। ফলে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা হয়। আর পণ্যটি যখন বাইরের দেশে পাঠানো হয়, তখন জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান ও দাম নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।
জানা গেছে, দইয়ের জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি তাদের আবেদনে ইতিহাস তুলে ধরে। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা কিংবা অঞ্চলে দই উৎপাদিত হলেও কিছু বিশেষত্বের কারণে বগুড়ার দইয়ের খ্যাতি দেশজুড়ে।
আবেদনে বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি উল্লেখ করেছিল, প্রায় দেড়শ বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সদরের প্রয়াত নীলকণ্ঠ ঘোষ প্রথম এ দই তৈরি করেন। এরপর ধীরে ধীরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঁড়ে করে বাড়ি বাড়ি দই বিক্রি শুরু হয়। বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন মহারানি ভিক্টোরিয়া ও রানি এলিজাবেথ।
২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ডিপিডিটিতে বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য করার জন্য আবেদন করে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আবেদনের প্রায় সাড়ে চার বছর পর স্বীকৃতি পেয়েছে বগুড়ার দই। একই সঙ্গে স্বীকৃতি পেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া, আশ্বিনা আম এবং শেরপুরের তুলসীমালা ধান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) গত ২৬ জুন এক সভায় দই, ল্যাংড়া-আশ্বিনা আম ও তুলসীমালা ধানকে অনুমোদন দেয়া হয়। দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি শাড়ি।
এর আগে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। নতুন করে এ তালিকায় যুক্ত হলো বগুড়ার দইসহ চার পণ্য। এখন থেকে এ পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।