• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে গান গাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৩, ০১:০৩ এএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে গান গাইলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

ঈদ উৎসব আমেজে ভিন্ন আবহ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় দেশের সরকারপ্রধান। নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাসি-আনন্দে কাটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জে দুই দিনের সরকারি সফরের প্রথম দিন শনিবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার পর কোটালীপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সফরসঙ্গী হন তার ছেলে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা মন দিয়ে শোনেন তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য। গানের সুরেও মেলান কণ্ঠ।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক বলেন, ‘আপা, আমি আপনার জন্য দোয়া করি যেন আগামীবার আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। আপনাকে আজীবন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, 

খালি প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী না, আমি যেন মানুষের সেবা করতে পারি, সেটাও বলতে হবে।

বঙ্গবন্ধকন্যা আরও বলেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গান শুনাবে না? তখন ওই নেতা গান ধরেন, ‘মুজিব বাইয়া যাও রে...নির্যাতিত দেশের মাঝে তুমি জনগণের নাও রে মুজিব...বাইয়া যাও রে...।’ আর এ গানের সঙ্গে সুর মেলান শেখ হাসিনাও।

অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান জানান, জনগণের সমর্থনই তার শক্তি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত দেশ গড়াই তার লক্ষ্য।

বক্তব্যে শেখ হাসিনা তুলে ধরেন, নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি নিজের আবেগমাখা অনুভূতি। জানান, বৃষ্টিস্নাত ঈদের সময়ে কোটালীপাড়ায় আসার অভিজ্ঞতাও।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,

কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার মানুষই তো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। গত দুইদিন আমি কারও সঙ্গেই দেখা করিনি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গেও দেখা করিনি। আমি বলেছি যে কারও সঙ্গে দেখা করবো না। সবার আগে আমি কোটালীপাড়া যাব। আল্লার রহমতে আসতে পেরেছি। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই চিন্তা হচ্ছিল যে বৃষ্টিতে কী করে সবাই আসবে! কিন্তু আল্লাহর কি কুদরত দেখেন, আল্লাহ আমাদের এত সহায় যে বৃষ্টিতে কোনো সমস্যা হয়নি।

সমালোচনাকারীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, যত বাধাই আসুক, যে কোনো মূল্যে দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।

সুষ্ঠু পরিকল্পনার বদৌলতে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছ পুরো বাংলাদেশ। নানা চ্যালেঞ্জ উতরিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা জানান, প্রতিকূলতায় জনগণের অগাধ সমর্থন তার শক্তি।

সমালোচকদের এক হাত নিয়ে শেখ হাসিনা জানান, উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণই বিরোধীদের প্রতি তার চ্যালেঞ্জ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের কোনো ভালোই চোখে দেখে না; যারা চোখ থাকতে অন্ধ; তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। তারা দেখে না কিন্তু ভোগ করে। সারা দিন কথা বলে তারপরও যদি বলে যে কিছুই বলতে পারি না; কথা বলার অধিকার নেই। সব বলেও বলে যে কথা বলার কোনো অধিকার নেই। তো তাদের ব্যাপারে করুণা করা ছাড়া কিছুই নেই।  

এর আগে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করে কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়।

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ