প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পশু কুরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মূলত, ঈদের দিন ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই পশু জবাই দেননি। তাই, দ্বিতীয় দিনে অনেকেই পশু কুরবানি দিচ্ছেন।
শুক্রবার ফজরের নামাজ পর পরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কুরবানি শুরু হয়।
ইসলামের বিধি মোতাবেক, ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কুরবানি দেওয়া যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে পশু কুরবানি দিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে, আবার অনেকে ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় কুরবানি করতে পারেননি। তাই দ্বিতীয় দিনে কুরবানি দিচ্ছেন তারা। পাড়া-মহল্লার অলিগলি, বাসার নিচের গ্যারেজে, প্রধান সড়কে পছন্দের গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া, দুম্বা কুরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
দ্বিতীয় দিনে একাধিক কুরবানিদাতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমদিন সবাই কোরবানি করেন, তাই কসাই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে তারা দ্বিতীয় দিনে পশু কুরবানি করেন।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা পলাশ বলেন, ঈদের দিন ভোর থেকেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যেই নামাজ আদায় করেছি। ভেবেছি নামাজ শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি থামবে। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় দুপুরে সিদ্ধান্ত নেই আজ আর পশু জবাই দিব না। তাই আজকে কুরবানি করছি।
ঈদের দিন গরু কিনেছেন তাই সেদিন কুরবানি দিতে পারেননি। তাই আজ কুরবানি দিচ্ছি বলে জানালেন শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা সাইদুর।
তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন গরু কিনতে পারেনি। ঈদের দিন গরু কিনে বাড়ি ফিরতে ভোর হয়ে গেছে। কসাই ঠিক করতে পারিনি। তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন কুরবানি দিচ্ছি।
মালিবাগের টিপু সুলতান জানান, আমরা সবসময় ঈদের দ্বিতীয় দিনেই কুরবানি দিয়ে থাকি। তবে, আজ জুমার দিন হওয়ার ফজরের পরেই পশু জবাই দেওয়া হয়। সাড়ে ১২টায় আযান হয়ে যায়। তাই দ্রুত সবকিছু শেষ করে নামাজের প্রস্তুতি নেব।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা রিপন জানান, গত দুইদিন ধরেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হবে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল। তাই, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কুরবানি করব।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার মিন্টু বলেন, বৃষ্টি জন্য গতকাল ছাগল কুরবানি দিতে পারেনি। তাই আজ দিচ্ছি।
এডিএস/