প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের দিন সবাই পরিবারের সদস্যদের জন্য সাধ্যমতো ভালো-মন্দ খাবারের আয়োজন করেন। এদিনে কারাবন্দিদের জন্যও বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) কর্তৃপক্ষ।
কারা সূত্রে জানা গেছে, পোলাওয়ের চাল দিয়ে তৈরি পায়েস ও মুড়ি দিয়ে ঈদের সকাল শুরু হয়েছে কারাবন্দিদের। এরপর বন্দিরা ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। ঈদের জামাত শেষ হওয়ার পর বন্দিদের জন্য আনা ১০টি গরু একে একে কোরবানি দেওয়া হয়। এছাড়া যারা গরু খাবেন না ও অন্য ধর্মাবলম্বীর রয়েছেন তাদের জন্য ৭টি খাসি জবাই দেওয়া শুরু হয়।
আরও জানা যায়, কারাগারের সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার বন্দির জন্য দুপুরে ও রাতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দুপুরের খাবার
ঈদের দিন দুপুরে কোরবানি করা গরুর মাংসসহ আরও বেশ কয়েকটি পদের খাবার বন্দিদের জন্য রান্না হবে। দুপুরের খাবারে থাকবে পোলাও, মুরগির রোস্ট, কোরবানির গরুর মাংস। যারা গরুর মাংস খান না ও অন্য ধর্মাবলম্বীর রয়েছেন তাদের জন্য আলাদ করে থাকছে খাসির মাংস। এছাড়া থাকছে মিষ্টি, কোমল পানীয়, সালাদ ও পান-সুপারির ব্যবস্থা থাকবে।
রাতের খাবার
রাতে বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারে থাকবে সাদা ভাত, রুই মাছ, ডিম ভুনা ও আলুর দম।
কারাগারে ঈদের দিনের সার্বিক আয়োজন নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ঈদের দিন সকালে নাস্তা খেয়ে কারাবন্দিরা কারাগারে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। জামাত শেষের পর এখন নানা আয়োজন চলছে। কারাবন্দিদের বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া আত্মীয়দের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ, মোবাইলে কথা বলা এবং বাড়ির রান্না করা খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা দেশের মানুষদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। সেটি যেন কারাগারের বন্দিরা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দের মধ্য দিয়ে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএস/