প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম
দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি আজ সংসদে বলেছেন, `বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন যে জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরদিনই বেড়ে যায়।`
পণ্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অর্থ বিল, ২০২৩ এর সংশোধনী প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চুন্নু বলেন, `বাজার একটু নিয়ন্ত্রণ করেন। উনি যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পরদিনই বেড়ে যায়। উনি কি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত কিনা বিষয়টা দেখেন। উনি যখনই বলেন কমাবেন, কন্ট্রোল করবেন তখনই দাম বেড়ে যায়। আসলে বাজারে নিয়ন্ত্রণ লাগবে, নিয়ন্ত্রণ নাই।`
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, `সুইস ব্যাংক থেকে বাংলাদেশিদের ডলার সরিয়ে নেওয়া হলো। ওই টাকাগুলি কারা রেখেছিল। কোনো সংস্থা নাই, ইন্টারন্যাশনালি ভাড়া করতে পারেন না যে, চোরগুলো কারা। কারা টাকা পাচার করে এ সব ব্যাংকে রাখছে। বের করেন না একটু।`
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই সংসদ সদস্য। বলেন, `বাংলাদেশ ব্যাংক করেটা কী? এই যে এত টাকা মার যায় এটা কি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? এটা যে ব্যাড লোন এটা কি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে চলে যায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? এগুলো শক্ত হাতে ধরেন, এত নরম হলে, চুপচাপ বসে থাকলে হবে না।`
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরে চুন্নু বলেন, `আমি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে বলব, গ্রামের মানুষ খুব কষ্টে আছে জিনিসপত্রের দামের কারণে। এক মণ ধান বিক্রি করে ১ কেজি গরুর মাংস কেনে। ধান এক মণ ৯০০ টাকায় বিক্রি করে, গরুর মাংস ৮০০ টাকা। ১ মণ ধান বিক্রি করে ১ কেজি খাসির মাংস কিনতে পারে না, ১১০০ টাকা। ১ কেজি ইলিশ মাছ কিনতে লাগে ২ মণ ধান। কৃষকরা আসলে খুব কষ্টে আছে।`
এডিএস/