• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

‘ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা মাংসতে উঠেছে’ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩, ০১:১৩ এএম

‘ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা মাংসতে উঠেছে’ : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নুন-ভাত, ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা এখন মাংসতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, একসময় এ দেশের মানুষের নুন-ভাত জুটাতে কষ্ট হতো। তারা একটু নুন-ভাত চাইতো। তারপরে আসলো ডাল-ভাত। অন্তত মানুষকে আমরা এমন পর্যায়ে আনতে পেরেছি যে, এখন নুন-ভাত, ডাল-ভাত নয়, মাংস পাচ্ছে না সেটা নিয়ে কথা আসছে। অন্তত নুন-ভাত, ডাল-ভাত থেকে মানুষের চাহিদা তো মাংসতে উঠেছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমি জানি, মাংসের দাম বেড়েছে। কিন্তু মানুষের মাংস-ভাত খাওয়ার যোগ্যতা বা সেই সামর্থ্য সেটা তো স্বীকার করতে হবে। অন্তত এই জায়গা আনতে পেরেছি। চাহিদা তো বাড়াতে পেরেছি। বাড়াতে যেহেতু পেরেছি পূর্ণ করতে পারব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু কোভিডের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসে। চলাচল বন্ধ, সেই মন্দার আঘাত আমাদের উপরেও আসে। সেখান থেকে আমরা যখন কিছুটা উত্তরণ ঘটাচ্ছি তখনই আসল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। শুধু আমাদের দেশ নয় বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য ঘাটতি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মানুষ উপলব্ধি করেছে, সরকার জনগণের সেবক। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। জনগণের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকব, সেই বাপের মেয়ে আমি না। ৭৫’র পর থেকে নির্বাচনে কারচুপির সংস্কৃতি তৈরি হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সম্পদ বেচবে, লুটপাট করবে, এটা এই দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির কারণে জনগণ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে জনগণ। ২০০৭ সালেও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ভোট চুরির ষড়যন্ত্র করছিল। এজন্য জনগণ দ্বারা বিতাড়িত হয়।

তিনি আরও বলেন, পলাশীর আম্রকাননে যেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগের হাতে সেটি ফের উদয় হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। যখন সংগঠনটি হয়, তখনো আমাদের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার দায়ে জেলে ছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য বেগম আক্তার জাহান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ