• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাসিক নির্বাচন: এজেন্ট ছাড়াই ভোটযুদ্ধে জাপা প্রার্থী

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম

রাসিক নির্বাচন: এজেন্ট ছাড়াই ভোটযুদ্ধে জাপা প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। কিন্তু কোনো কেন্দ্রে তিনি এজেন্ট নিয়োগ করেননি। যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দাবি করেছেন, ৫০টি কেন্দ্রে তিনি এজেন্ট দিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগরীতে কেন্দ্র আছে ১৫৫টি। সরেজমিন বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে জাতীয় প্রার্থীর কোনো এজেন্ট চোখে পড়েনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আর্থিক সংকটের কারণে এজেন্ট দিতে পারেননি স্বপন। ফলে নগরজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে: জাপা প্রার্থী কি তবে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পথ অনুসরণ করেছেন?

যদিও সাইফুল ইসলাম স্বপনের মতে, অনেকটা সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হচ্ছে। যার কারণে এজেন্ট দেয়ার খুব একটা প্রয়োজন মনে করেননি। তবুও ৫০টি কেন্দ্রে তিনি এজেন্ট দিয়েছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন সব কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন। এই নির্বাচনে বিএনপি না থাকা এবং পরবর্তী সময়ে হাতপাখার প্রার্থী ভোট প্রত্যাহার করায় জাতীয় পার্টিকে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে আওয়ামী লীগের। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত ভোটের ফলাফল কী দাঁড়ায়।


রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।

এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ প্রার্থী। ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।

এদিকে, ফল ঘোষণার পর কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নগরজুড়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আমাদের কাছে তথ্য আছে, ফল ঘোষণার পর কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ৪০টি মোবাইল টিম মাঠে রাখা আছে।’

এ ছাড়া নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি ৩টি ওয়ার্ডের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।


এডিএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ