প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা তার দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেন না, বের করে দিচ্ছেন। কোনো কোনো জায়গায় পেশিশক্তি ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।
বুধবার (২১ জুন) সকালে সিলেটের সুবিধবাজার এলাকার আনন্দনিকেতন স্কুলে ভোট দেয়া শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, `সব কেন্দ্রে আমি আমার পোলিং এজেন্ট দিয়েছি। কিন্তু আমি সকাল থেকে ফোন পাচ্ছি বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। জোর করে বের করে দেয়া হচ্ছে।`
বিরোধীদলীয় প্রার্থী হিসেবে আরও পরিদর্শন করে নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি অবহিত করবেন। শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবেন কি না কিংবা ফল গ্রহণ করব কি না, তা আরও কিছু সময় পর জানাবেন বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নৌকা প্রতীক প্রার্থীর পকেটে মন্তব্য করে তিনি বলেন, `সিলেটে নির্বাচনে এভাবে যদি পেশিশক্তি ব্যবহার করা হয়, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কোনো পরিবেশই নেই।`
এর আগে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে মহানগরের ৮নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সকাল ৮টা থেকে নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের ১৯০টি কেন্দ্রের ৩৬৪টি বুথে একযোগে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।
এবার বর্ধিত এলাকাসহ মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন হলেন নারী ভোটার।
সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), স্বতন্ত্র মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), স্বতন্ত্র মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস)। স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
ইতোমধ্যে নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ভোট বর্জন করেছেন।
এডিএস/