• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সংবিধান মেনেই জাতীয় নির্বাচন হবে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম

সংবিধান মেনেই জাতীয় নির্বাচন হবে: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংবিধান মেনেই সঠিক সময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় যাবে।

বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর শেষে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গণতন্ত্রহরণকারীরাই এখন গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কোনো অস্বস্তিকর পরিবেশ নেই। এককভাবে কারো ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না দেশ, সব বিষয় বিবেচনা করেই ব্রিকসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত কী বলবে তা নিয়ে বাংলাদেশের ওকালতি করতে হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের উন্নয়ন ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না, তারাই পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। গণতান্ত্রিক ধারা নষ্ট করতেই ষড়যন্ত্রে মেতেছে একটি মহল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না আওয়ামী লীগ। দেশে নির্বাচন নিয়ে কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি নেই। সঠিক সময়েই সংবিধান মেনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে।

সুইজারল্যান্ড সফরে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) প্রতি আহ্বান জানাই। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার পরিমাণ কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করি।
 


সুইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংকট নিরসনে সুইজারল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সুইজারল্যান্ডে ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিকস জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার আগ্রহের কথা জানাই। আগামী আগস্টে জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে জোটের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট।’

কাতার সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাতার সফরে গুরুত্ব পায় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি। এ ছাড়া ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ পরবর্তী সময়ে কর্মহীন হয়ে যাওয়া বাংলাদেশিদের বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন কাতারের আমির। চলতি বছর বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও ইতিবাচক সাড়া দেন কাতারের আমির।

কাতারে সাম্প্রতিক দুটি সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ থেকে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে শনিবার দেশে ফিরেছেন। এ ছাড়া ২৩-২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।


এডিএস/

আর্কাইভ