প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ১২:৫৫ এএম
বাংলাদেশের কৃষিজাত পণ্যের জন্য বহির্বিশ্বে বাজার খোঁজার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,
দেশে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যের জন্য বহির্বিশ্বের বাজার খুঁজতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশি পণ্য কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে ফল-শাকসবজি কিনতে আগ্রহী তারা। সে জন্য এসব দেশে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে।
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে দেশের কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে উৎসাহ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘এ খাতে যাতে বেশি আলোকপাত করা হয়, প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্ভাব্য বাজার খুঁজতে নজর দিতে বলেছেন। যাতে এসব দেশ ভালো ক্রেতা হতে পারে।’
বৈঠকে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২৩-এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, এটি এ-জাতীয় প্রথম কোনো নীতিমালা। এর আওতায় কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উৎপাদনে সরকারের তরফ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ খাতে যেসব প্রণোদনা ও সহযোগিতা করা হবে, তার একটি প্রস্তাবনা বা নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি তুলেছিল।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ও খাদ্যপণ্যে বাংলাদেশ বিশেষ সফলতা অর্জন করেছে। এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে যারা উৎপাদনকারী তাদের সুলভমূল্য দেয়া যাবে। বাজারজাতকরণের সুবিধা ছাড়াও রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করতে এই নীতিমালায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে সীমান্তবর্তী নদী দিয়ে আসা বালুর উৎসে ব্লক নির্মাণ করা গেলে এসব বালু বেশি কাজে লাগানো যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন যে সীমান্তবর্তী নদী দিয়ে যে বালু আসে, সেটা মোটা বালু। সেটা আসতে আসতে চিকন হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে এসব উৎসে যদি ব্লক নির্মাণ করা যায়, তখন এ বালু বেশি কাজে লাগানো যাবে।’
সচিব বলেন, ‘এটি অর্থনৈতিকভাবেই সাশ্রয়ী হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও ওই এলাকাগুলোতে এ-জাতীয় শিল্প তৈরি করতে অনুদান ও সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বালু ভালোভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। ড্রেজিংয়ের চাপ কমে যাবে, যা লাভজনক হবে।’
জেকেএস/