• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

চট্টগ্রামের বিকল্প বন্দর হিসেবে মোংলা বন্দরকে গড়ে তোলা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০২:৪৭ এএম

চট্টগ্রামের বিকল্প বন্দর হিসেবে মোংলা বন্দরকে গড়ে তোলা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মোংলা সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দরকে গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে বন্দর সচল রাখতে হলে চ্যানেলের গভীরতা ঠিক থাকা বিশেষভাবে প্রয়োজন। কিন্তু বন্দরের পশুর চ্যানেল পলি জমে ভরাট হচ্ছে, এটা কাগজে-কলমে দেখতে পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে নিজের চোখে দেখে গেলাম।

শনিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘মোংলা বন্দর একটি সম্ভাবনাময় বন্দর, তাই দেশের স্বার্থে এ বন্দরের উন্নয়ন প্রয়োজন। চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটাও দেখা হচ্ছে। মোংলা বন্দরকে যদি পরিবেশবান্ধব এবং আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বা এর আশপাশের মানুষদের একটু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কারণ বন্দর যদি না থাকে তবে এর আশপাশের এলাকার কোনো মূল্য থাকবে না। বন্দর আছে বলেই এ এলাকার মূল্য দেশের সব স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে এ বন্দরকে আধুনিক বন্দরের রূপান্তর করাসহ সব উন্নয়ন করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

‘একটি সমুদ্র বন্দরের প্রাণ হলো চ্যানেল পরিষ্কার ও গভীরতা বজায় রাখা। চ্যানেল যদি গভীরতা কম থাকে তাহলে অধিক গভীরতার জাহাজ বিদেশ থেকে সরাসরি বন্দরে ঢুকতে পারবে না। এখানে অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি চ্যানেল ড্রেজিং চলমান রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

মোংলা বন্দরকে উজ্জীবিত করতে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত প্রায় ১৩২ কিলোমিটার চ্যানেল খননের জন্য দুটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে আউটারবার ড্রেজিং খননের কাজ শেষ হয়। ২০২১ সালের ১৩ মার্চ শুরু হয় ১৯ কিলোমিটার ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প খননের কাজ। শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হয় মাত্র ২৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বালু ফেলার জায়গা না থাকায় আবারও স্থবির হয়ে যায় ইনারবার প্রকল্পের কাজ। তাই এবারে প্রকল্পে ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন কাজটি সম্পন্ন করা হবে।

বন্দরের তথ্যমতে, প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আরও ১৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে এখন ৯৯২ কোটি ২৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রথমে বন্দর কর্তৃপক্ষের রেস্ট হাউজ পারিজাতে পৌঁছান। সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করেন। সেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনারবারসহ বন্দরের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি সুন্দরবনের একমাত্র সরকারি বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র বনের করমজল ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রীর পরিবারসহ মন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব, বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শওকাত হোসেন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত ও বন্দরের কর্মকর্তারা সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ