• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

দুই মাসেরও কম সময়ে দেশে চার ভূমিকম্প

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩, ০৬:০২ পিএম

দুই মাসেরও কম সময়ে দেশে চার ভূমিকম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় ৫২ দিন অর্থাৎ দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চারবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এসময় বিভিন্ন স্থানে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেকেই ঘর থেকে বের হয়ে যান। তবে এসব ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রস্থল যত গভীর হয় ভূমিকম্পের অনুভূতি তত কম হয়। আর কেন্দ্রস্থল ওপরের দিকে হলে কম্পনের অনুভূতি বেশি হয়।

এ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশে হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মাত্রা কম ছিল। বলা যেতে পারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলও গভীরে ছিল।

সর্বশেষ আজ শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ থেকে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তথ্য বলছে, ভারতের শিলংয়ে এর কেন্দ্র ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫।

এ ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

এ কম্পনের প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় আগে গত ৫ মে ভোরে দেশে আরেকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। কেঁপে ওঠেছিল রাজধানী ঢাকা। রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার সিটি সেন্টার থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে দোহারে। সেদিনও ছিল শুক্রবার।

সেসময় মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল দোহার থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ পূর্বে। যার গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই‌।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সাধারণত কাছাকাছি জায়গায় হয়ে থাকে।

এর আগে ৩০ এপ্রিল (রোববার) চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এদিন দুপুর ১২টা ৫৬ মিনিটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল অক্ষাংশ ২২ দশমিক ৯৩ ডিগ্রি উত্তর, দ্রাঘিমা ৯৪ দশমিক ১৯ ডিগ্রি পূর্ব মিয়ানমারের মাউলাইকে। রাজধানীর ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এর দূরত্ব ছিল ৪০০ কিলোমিটার।

রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৬। এটিও ছিল হালকা শ্রেণির ভূমিকম্প। 

এদিকে ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূগর্ভের প্রায় ১৭ কিলোমিটার নিচে। কেন্দ্রস্থল গভীর কম হওয়ায় এর প্রভাব বুঝা গিয়েছিল।

এদিন রাত প্রায় সোয়া ২টার দিকে ঝাঁকুনি দিয়ে কেঁপে উঠে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা। সেসময় বেশকিছু ঝাঁকুনিতে আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয়রা।

গত এক যুগে ঢাকা ও এর আশে পাশে প্রায় বেশকিছু ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পগুলোর বেশিরভাগ কেন্দ্রস্থল ছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায়।

 

বিএস/

আর্কাইভ