প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩, ০৭:৩৭ পিএম
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (বসিক) নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় জামানত হারালেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে।
ওই পাঁচ মেয়র প্রর্থী হলেন: হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামন, হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন।
এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কাছাকাছি প্রার্থীর থেকে দ্বিগুণ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজারর ৮০৮ ভোট; আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ ভোটের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ ভোট পড়েছে। আর প্রদত্ত এ ভোটের মধ্যে ৪২১টি ভোট বাতিল হয়েছে, সেই হিসেবে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬টি।
নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জামানত বাতিলের বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আর এ তথ্যানুযায়ী মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যেককে জামানতের টাকা ফেরত নিতে হলে ১৭ হাজার ৭৭২ টির মতো ভোট পেতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছাড়া আর কেউই এর ওপরে ভোট পাননি। তাই বাকি ৫ প্রার্থীর জামানত হারালেন। টাকাও নির্বাচন কমিশনের আয়ের খাতে চলে যাচ্ছে।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সব থেকে কম ৫২৯টি ভোট পেয়েছেন হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামন। এর ওপরে আছেন হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার, তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট, তার ওপরে থাকা জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মিজানুর রহমান বাচ্চু পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট। আর জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৬৬৬৫ ভোট এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন পেয়েছেন ৭৯৯৯ ভোট।
এদিকে আর এ অবস্থা যে শুধু মেয়র প্রার্থীদের তাও নয়, ৫ ডজনেরও অধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকেও জামানত হারাতে হবে।
সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, জামানত জব্দের আইন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য একই। তবে মেয়রের ভোটের হিসাব হবে ৩০টি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর, আর কাউন্সিলরদের হবে প্রতি ওয়ার্ডের মোট কাস্টিং ভোটের ওপর।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, আর নিয়মানুযায়ী এবারের নির্বাচনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডে ১১৮ সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৭ এবং ৪১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অর্থাৎ জামানত বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছেন মোট ৬২ কাউন্সিলর প্রার্থী।
জেকেএস/