• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বোমায় আঙুল হারানো নুসরাতের পাশে দাঁড়ালেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী শামীম

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

বোমায় আঙুল হারানো নুসরাতের পাশে দাঁড়ালেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী শামীম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরীয়তপুরে পরিত্যক্ত এক বাড়িতে আম কুড়াতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে হাতের আঙুল হারানো নুসরাতের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

রোববার (১১ জুন) উপমন্ত্রী তার এক প্রতিনিধিকে ভুক্তভোগীর বাড়িতে পাঠিয়ে নুসরাতের বাবাকে তার চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

এর আগে, শুক্রবার (৯ জুন) সময় টেলিভিশনে ‘চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন শরীয়তপুরের শিশু নুসরাত’ - এমন শিরোনামে প্রচারিত হয় একটি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি নজরে আসে এনামুল হক শামীমের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার প্রতিনিধি হিসেবে ঘুমখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে পাঠিয়ে নুসরাত ও তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি নুসরাতের বাবা লাভলু সরদারকে চিকিৎসার সব খরচ বহনের আশ্বাস দেন।

শামীম সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, ‘পরিত্যক্ত বাড়িতে কীভাবে বা কোথা থেকে বোমা এলো, সে বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। গভীর তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


নুসরাতের বাবা লাভলু সরদার বলেন, ‘উপমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে ঘুমখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি নুসরাতের ও আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং চিকিৎসার সব খরচ মন্ত্রী বহন করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে আম কুড়াতে গিয়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়ে থাকা বোমাকে বল মনে করে হাত দিয়ে সরাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। কোথা থেকে এলো এ বোমা! কে বা কারা রেখেছে, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি করছি। আমার মেয়ের চিকিৎসা করার পরও ওর হাতের তিনটি আঙুল ফিরে পাবে না। 

‘কোরবানির ঈদের পর চোখের অপারেশন। ওর চোখের মধ্যে কাঁচের টুকরা ঢুকেছিল, সেটা বের করার সময় জেল বেরিয়ে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। আবার অপারেশনের পর চোখ ভালো হতে পারে, নাও হতে পারে। সংসদ সদস্য আমার মেয়ের সব চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার পরিবার তার কাছে কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, গত ১০ মে সকালে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিবেশীর এক পরিত্যক্ত বাড়িতে আম কুড়াতে গিয়ে নুসরাত তিনটি গোলাকার বস্তু দেখতে পায়। ওগুলোকে বল মনে করে হাত দিয়ে সরাতে গেলে একটি বোমার বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নুসরাতের ডান হাত ও ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। হাত ও চোখের দুটি অপারেশন করার পর নুসরাত এখন বাড়িতে বিছানায় ক্ষতের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

বার বছর বয়সী নুসরাত আক্তার নড়িয়া দক্ষিণ চাকধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


এডিএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ